

কোচ ও কিউরেটরদের মানোন্নয়নে বিভিন্ন কোর্সের আয়োজন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি। গতকাল (১৮ সেপ্টেম্বর) শেষ হয়েছে কোচদের বায়োমেকানিকস ওয়ার্কশপ। যেখানে ভারত থেকে ট্রেইনার এনে ৩ দিন ব্যাপী প্রিশক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।এবার কিউরেটরদের দক্ষতা বাড়াতে নিউজিল্যান্ড থেকে আসছেন দেশটির টার্ফ ম্যানেজমেন্টের প্রধান। এদিকে ক্রিকেটারদের অনুশীলন সুযোগ সুবিধা বাড়াতে অবকাঠামো উন্নয়নেও পথ বাতলে দিচ্ছে নিউজিল্যান্ড।
শুধু কিউরেটরদের নিয়ে ওয়ার্কশপ নয় তার আগে দেশের বিভিন্ন ভেন্যু ঘুরে দেখবেন আয়ান জোসেফ ম্যাকেঞ্জি। এই কিউই এর অধীনেই আগামী ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর মিরপুরে কর্মশালা চলবে।
এ প্রসঙ্গে আজ (১৯ সেপ্টেম্বর) মিরপুরে গ্রাউন্ডস কমিটির ম্যানেজার আব্দুল বাতেন সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘সে খুব অভিজ্ঞ একজন, নিউজিল্যান্ডের প্রতিটি মাঠ সে তদারকি করে। জ্ঞানের দিক থেকে সে খুবই ভালো। আজকে উনি বাংলাদেশে আসছেন। প্রথমে আমরা উনাদের ভেন্যুগুলো ঘুরিয়ে দেখাবো। কালকে আমরা যাবো চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, তারপর সেখান থেকে চলে যাবো কক্সবাজার।’
‘২১ তারিখ আমরা কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফিরবো। ২২ তারিখ সিলেট পরিদর্শনে যাবে। সেখান থেকে ফিরে…আমাদের মূলত যে কোর্স, ওয়ার্কশপ সেটা ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর। সারা বাংলাদেশ থেকে আমাদের কিউরেটর, সহকারী কিউরেটর, গ্রাউন্ডস প্রধান যারা উইকেট এবং আউটফিল্ডের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত তাদের নিয়ে ওয়ার্কশপটা হবে।’
‘উনাকে এনেছি কারণ নিউজিল্যান্ড যে ধরণের উইকেট ও আউটফিল্ড তৈরি করে এ সমস্ত কিছুর সাথে আমরা যে পদ্ধতি অবলম্বন করি এটার সাথে আমরা তুলনা করবো। মাঠগুলো পরিদর্শনের মাধ্যমে উনার বাস্তবিক একটা অভিজ্ঞতা হবে। নিউজিল্যান্ডে উইকেট কীভাবে তৈরি হয় সেটা সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানতে পারবো।’
বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে নিউজিল্যান্ডই অন্যতম অনুসরণযোগ্য দেশ। অন্তত বিসিবি এমনটাই মনে করে। যে কারণে বগুড়ার উইকেটের পর মিরপুর একাডেমি মাঠে সারাবছর কোনো ঝামেলা ছাড়া অনুশীলন চালিয়ে যেতে বিশেষ ছাদ যুক্ত করতে যাচ্ছে। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই ছাদ যুক্ত করতে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডই সাহায্য করছে।
আব্দুল বাতেন যোগ করেন, ‘বগুড়ার উইকেট আমরা নিউজিল্যান্ডের আদলে বানানোর চেষ্টা করেছি। মিরপুর একাডেমি ও ইনডোরও সারাবছর, বৃষ্টির সময়ও যেন অনুশীলন করতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা নিব, যেটা নিউজিল্যান্ডে আছে। ইতোমধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।’
‘নিউজিল্যান্ডের ইনডোরে যে ছাদটা আছে, বৃষ্টির সময় থাকে অন্য সময় সরে যায় সেটা ইতোমধ্যে আমাদের পরিকল্পনার চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। খুব দ্রুতই আমাদের এখানে এটা ইনস্টল হবে, একোটা কানাডিয়ান কোম্পানি নিউজিল্যান্ডে করেছে, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সহায়তায় এটা আমরা বাংলাদেশে ব্যবস্থা করছি।’