

দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় নেই পেসার রুবেল হোসেন। টেস্ট ফরম্যাটে নিজেকে কখনোই কার্যকর হিসেবে তুলে ধরতে না পারা এই ডানহাতি নিজের ভবিষ্যত আঁচ করতে পেরেছেন। আর তাইতো সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাড়তি মনযোগ দিতে এবার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকেই বিদায় বলে দিলেন।
বাংলাদেশের হয়ে ২৭ টেস্ট ১০৪ ওয়ানডে ও ২৮ টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন রুবেল। তবে টেস্ট ক্যারিয়ারটা সাদামাটাই, ৩৬ উইকেট নেওয়ার পথে গড় ৭৬.৭৮ ও স্ট্রাইক রেট ১১৭.৩১।
৬০ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারও খুব একটা আহামরি কিছু নয়। ২০০৭ সালে খুলনা বিভাগের হয়ে অভিষেক, সর্বশেষ খেলেছেন ২০২০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে। প্রায় ১৫ বছরের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে উইকেটের সেঞ্চুরিও করতে পারেননি রুবেল (৯৭)।
এদিকে অন্য ফরম্যাটেও টাইগার জার্সিতে নির্বাচকদের চোখের আড়ালে চলে গেছেন এই পেসার। সর্বশেষ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছেন গত বছর নিউজিল্যান্ড সফরে। এরপর থেকেই ক্রিকেট থেকে অনেকটা দূরে ৩৩ ছুঁইছুঁই বয়সী এই ক্রিকেটার।
সর্বশেষ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেছেন চলতি বছর এপ্রিলে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল)। এরপর বাংলাদেশ টাইগার্স, এইচপি কিংবা ‘এ’ দল সহ বিসিবির বেশ কয়েকটি ক্রিকেট ক্যাম্প পরিচালিত হলেও কোথাও দেখা যায়নি রুবেলকে।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) আসন্ন আসর মাঠে গড়াচ্ছে আগামী মাসে । তার আগে রুবেল নিজেই সরে দাঁড়ালেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে। বিসিবিকে ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন এই পেসার।
সংবাদ মাধ্যমে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘টেস্টে আমার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুতরাং প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলারও খুব একটা প্রয়োজনীয়তা দেখি না। আমার অবসরের মাধ্যমে অন্য একটা নতুন ছেলে সুযোগ পাবে, নিজেকে মেলে ধরতে পারবে।’
‘অনেক বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি তাই আমার শরীরের একটা বিষয় আছে। সবকিছুই আসলে বিবেচনা করছি। চিন্তা করছি টেস্ট ম্যাচ খেললে ইনজুরিতে পড়ে যাবো। ফিটনেসেরও একটা ব্যাপার আছে। এগুলো সবই বিবেচনা করছি। চারদিনের বিসিএল না খেললেও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটা খেলবো।’