

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বল হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের। তবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পেস বোলিং বিভাগকে তাদেরই টেনে নিতে হবে বলছেন জাতীয় দলের সাবেক পেসার তালহা জুবায়ের।
আগামী মাসেই অস্ট্রেলিয়ায় পর্দা উঠবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। তার আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে টাইগাররা।
২২ সেপ্টেম্বর আরব আমিরাতের উদ্দেশে দেশে ছাড়বে বাংলাদেশ। তবে ইতোমধ্যে অনুশীলন শুরু করেছেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজ। মিরপুরে তিনি সঙ্গী হিসেবে আজ (১৮ সেপ্টেম্বর) পেয়েছেন সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনদের।
সাম্প্রতিক সময়ের মতো আজ মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতোয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সেন্টার উইকেটেও বল হাতে বিবর্ণ ছিলেন কাটার মাস্টার। সর্বশেষ ১৬ টি-টোয়েন্টিতে ৮ বারই উইকেট শূন্য ছিলেন মুস্তাফিজ। বাকি ম্যাচগুলোতে ২ টির বেশি পাননি একবারও। সব মিলিয়ে এই ১৬ ম্যাচে নিতে পেরেছেন সাকূল্যে ১০ উইকেট।
অনেকটা একই পরিস্থিতি তাসকিনেরও। বর্তমানে ওমরাহ হজ্ব পালন করতে সৌদি আরবে আছেন এই ডানহাতি পেসার। সর্বশেষ ১০ টি-টোয়েন্টিতে উইকেট নিয়েছেন ৭ টি। এই সময়ে ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৮ করে।
তবে বর্তমান বিসিবির পেস বোলিং কোচ ও সাবেক ক্রিকেটার তালহা জুবায়ের মনে করেন বিশ্বকাপে মুস্তাফিজ-তাসকিনকেই পথ দেখাতে হবে অন্যদের। তাদের পথ অনুসরণ করেই দলীয় সাফল্যের অংশ হবে হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনরা।
ক্রিকেট৯৭ কে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে যারা অভিজ্ঞ বোলার বা সিনিয়র বোলার তাদের অবশ্যই অনেক চ্যালেঞ্জ থাকবে। কারণ তারা যখন নেতৃত্ব দিতে পারবে বাকিরা তখন অনুসরণ করতে পারবে। মুস্তাফিজের উপর অনেক দায়িত্ব। তাসকিনেরও একই দায়িত্ব, অনেক দিন ধরে সে জাতীয় দলে খেলছে, বড় কথা ভালোও খেলছে।’
‘তো তারা দুজন যদি লিড করতে পারে তাহলে বাকি যারা আছে হাসান মাহমুদ, ইবাদত, সাইফউদ্দিন যদি তাদের অনুসরণ করতে পারে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে খেলে, বোলিংয়ে জুটি গড়তে পারে, কোচ-অধিনায়কের সাথে ভালো একটা পরিকল্পনা সাজাতে পারে তাহলে আমার মনে হয়… আপনি টি-টোয়েন্টিতে বোলিংয়ে যত ভালো করবেন তত বেশি ম্যাচ জেতার সুযোগ বেশি থাকে।’
বাংলাদেশের বড় সমস্যার নাম হয়ে উঠছে ডেথ ওভারে বোলিং। চাপের মূহুর্তে খেই হারাচ্ছে টাইগার পেসাররা। এ থেকে বেরিয়ে আসতে নেট বোলিংয়ের চেয়ে স্পট বোলিং বেশি অনুশীলনের পরামর্শ তালহা জুবায়েরের।
এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘ডেথ ওভারে বল করতে হলে আপনার আত্মবিশ্বাসের একটা ব্যাপার থাকতে হয়, আপনি নিখুঁত কখন হবেন? যখন আপনি এটা নিয়ে অনুশীলনে মনযোগ দিবেন। আপনি যখন অনেক স্পট বোলিং করবেন তখনই অ্যাকুরেসি বাড়বে। পেসাররা যত স্পট বোলিং করবে তত ঠিকঠাক হবে। আমাদের পেসারদের উচিৎ স্পট বোলিংয়ে আরও মনযোগী হওয়া।’
‘যেমন আপনি ব্যাটারদের দেখবেন প্রচুর ব্যাটিং করে, কিন্তু আপনি কয়টা পেস বোলারকে দেখেন মাঠে এসে স্পট বোলিং করছে? খুব কম। আমরা যখন পেসারদের সাথে কাজ করি কিংবা কথা বলি সবসময় চেষ্টা করি তাদেরকে স্পট বোলিংয়ে মনযোগী করতে। কারোন নেটে বল করে বোলারের খুব একটা সাহায্য হয় না।’