ইনজুরিকে বন্ধুর সাথে তুলনা করলেন হাসান মাহমুদ

হাসান মাহমুদ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আল আমিন হোসেন মুস্তাফিজুর রহমান
Vinkmag ad

পেসারদের জন্য ইনজুরি নিয়মিত ব্যাপার। কারও কারও ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে গেছে ইনজুরির থাবায়। বাংলাদেশের তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ তো বন্ধুর সাথেই তুলনা করলেন বিষয়টিকে।

বর্তমান সময়ে ভালো ও প্রকৃত বন্ধু খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। জীবনের নানা সময়ে বন্ধুত্ব হয় অনেকের সাথেই কিন্তু টিকে থাকে অল্প কয়েকজন। কেউ চলে গেলে আবার নতুন কেউ এসে ঠিকই হাজির হয়।

গতি আর আগ্রাসনে মুগ্ধ করে জাতীয় দলে অভিষেক হাসান মাহমুদের। তবে পিঠের অদ্ভুত এক চোটে গত বছর নিউজিল্যান্ড সফরের মাঝপথে দেশে ফিরতে হয়। সেই যে কারণ খোঁজা শুরু তা শেষ হয়েছে চলতি বছর এসে।

নানা পরীক্ষা নীরিক্ষা করিয়েও প্রকৃত কারণ বের করা যায়নি। পরে ইংল্যান্ডে চিকিৎসা করিয়ে মাঠে ফেরার সবুজ সংকেত পান।

সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) মোহামেডানের হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরেন। জাতীয় দলের সঙ্গী হন জিম্বাবুয়ে সফরে। বল হাতে প্রত্যাবর্তনটা ভালোই করেন। ছিলেন এশিয়া কাপের স্কোয়াডেও। তবে গোড়ালির চোটে এশিয়া কাপ থেকেও ছিটকে যান।

এবার ফিরলেন নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড দিয়ে। এর আগে হুট করে চূড়ান্ত হওয়া সংযুক্ত আরিব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজেও খেলবেন।

পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষে বল হাতে নেওয়ার অপেক্ষায় থাকা হাসান জানালে ইনজুরি অনেকটা বন্ধুর মতো।

আজ (১৭ সেপ্টেম্বর) মিরপুরে এই তরুণ বলেন,

‘পেস বোলারদের জন্য ইনজুরি জিনিসটা মানে একটা বন্ধুর মতো এসে আবার চলে যায় (হাসি)। জিনিসটা খুবই… কিন্তু এটা কাজ করার মধ্যে থাকতে হবে অবশ্য। ফিটনেস বলেন বোলিং ওয়ার্ক বলেন সব কিছু মিলেই এটা প্রকৃতপক্ষে ধারাবাহিকতার ব্যাপার। নিয়মিত আপনি যখন কাজে থাকবেন তখন এ জিনিসটা হয়ত হবে না।’

নতুন বলে হাসানকে দারুণ কার্যকর মনে করে টিম ম্যানেজমেন্ট। সামনের দিনগুলোতে তার হাতেই নতুন বল তুলে দেওয়া হতে পারে। তবে ডেথ ওভারেও তার কাছে সেবা পেতে চাইবে দল। এ জায়গাটায় ভালোই ভুগছে বাংলাদেশ। নিজেকে নিয়ে এই তরুণ পেসার কি ভাবছেন?

জবাবে তিনি বলেন,

‘না এরকম কোন কথা হয়নি (টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে)। কিন্তু প্রত্যেকটা ফাস্ট বোলারের একটা ক্যাটাগরি আলাদা ডেথ ওভারে বল করার জন্য। সবার এমন আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে যে আমরা পারব। সে জিনিসটা নিয়ে সামনে আমরা অবশ্যই কাজ করব। কোচ আছেন, আমরা কথা বলব।’

টাইগার পেসারদের ক্ষেত্রে ইয়র্কার মারার প্রবণতা কম। অথচ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একটা ভালো ইয়র্কার ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। সতীর্থ পেসাররা কেন পারছে না তার খানিক ব্যাখ্যা দিলেন হাসান মাহমুদ।

তার মতে, ‘আমি বলবো যে যখন চাপের মুহূর্ত আসে তখন আমরা পেনিক হয়ে যাই, স্কিল আমরা ভুলে যাই। ওই স্কিলের মধ্যে থাকতে হবে ওটা চালিয়ে নিতে পারলে ইয়র্কার মারতে পারবো।’

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

যে কারণে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন হাসান মাহমুদ

Read Next

কপালি-ধীমানের জ্বলে ওঠা দিনেও হেরেছে বাংলাদেশ লেজেন্ডস

Total
1
Share