

চোটের সাথে তার লড়াইটা দীর্ঘ দিনের। লম্বা বিরতির পর মাঝে কেবল জিম্বাবুয়ে সফরে খেলতে পেরেছেন। বেশ ভালো বোলিং করলেও আবার চোটে পড়ে মিস করেন এশিয়া কাপ। তবে ঠিকই সুযোগ পেয়েছেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে। পেসার হাসান মাহমুদ জানালেন জিম্বাবুয়ে সফরের পারফরম্যান্স তাকে আশাবাদী করেছিল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের স্কোয়াডটাই ত্রিদেশীয় সিরিজের স্কোয়াড। একই দল এর আগে খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
একদিকে চোট অন্যদিকে খুব বেশি ম্যাচ না খেলা। সুযোগ পেয়ে কিছুটা অবাক কি নিজেই হয়েছিলেন হাসান মাহমুদ? মিরপুরে আজ সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এমন প্রশ্নেরই সম্মুখীন হন এই পেসার।
গোড়ালি চোট কাটিয়ে ১৯ তারিখ বল হাতে নিবেন হাসান। ২২ সেপ্টেম্বর আরব আমিরাতের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ। হাসান বলছেন স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া তার কাছে প্রত্যাশিতই ছিল।
তিনি বলেন,
‘না (অবাক হননি) আমার সর্বশেষ যে পারফরম্যান্স দেখেছিলেন জিম্বাবুয়েতে, তাতে আমার আত্মবিশ্বাস ছিল যে ওটাকে ধরেই হয়ত আমি থাকতে পারব (দলে) ইনশাআল্লাহ। সো এমনটাই হয়েছে।’
গত জুলাই-আগস্টে জিম্বাবুয়েতে দুইটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছেন হাসান। যেখানে তরুণ এই পেসার দুই ফরম্যাটেই উইকেট নেন সমান তিনটি করে। এক বছরের পর বেশি সকয় পর মাঠে ফিরে এমন পারফর্ম করে মুগ্ধ করেন টিম ম্যানেজমেন্টকে।
তিনি নিজেও এ থেকে আত্মবিশ্বাস খুঁজে নিচ্ছেন,
‘অবশ্যই সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে যে সিরিজটা খেলেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ ওটা থেকে খুবই আত্মবিশ্বাসী আমি নিজেই। যেহেতু এখন বিশ্বকাপ দলে আছি, নিজের সেরাটাই দিতে চাই।’
চাপের মুহূর্তে টাইগার পেসাররা খেই হারায় নিয়মিত। এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে ৫ ওয়ানডে ও ৩ টি-টোয়েন্টি খেলা হাসান বলছেন চাপ আসলেও বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না।
তার ভাষায়, ‘যখন চাপের সময় আসে তখন হয়তোবা আমরা বেশি পেনিক হয়ে যাই, অথবা আমাদের যে মূল স্কিল ওটা হয়তো ভুলে যাই। তো ওই জিনিসটা প্রকৃতপক্ষে আমাদের নিয়মিত চালিয়ে নিতে হবে। যে কোন পরিস্থিতিতে আমাদের ওই জিনিসটা কাজে লাগাতে হবে। এটা আমাদের শিখতে হবে।’