
© ICC via Getty Images

আগামী বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবে পরবর্তী নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সরাসরি খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হতে যাওয়া বাছাই পর্ব উতরাতে পারলেই মিলবে টিকিট। টাইগ্রেস দলপতি নিগার সুলতানা জ্যোতি মনে করেন যোগ্য দল হিসেবেই তারা বিশ্বকাপ খেলার দাবিদার। নিজের দল নিয়ে দারুণ আশাবাদী তিনি।
বাছাই পর্বে বাংলাদেশ খেলবে গ্রুপ ‘এ’ তে, সঙ্গী আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র। ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে আয়ারল্যান্ডের। তার আগে আইসিসিতে নিজেদের অবস্থা সম্পর্কে কথা বলেন অধিনায়ক জ্যোতি। সেখানেই জানিয়েছেন দল নিয়ে তার বিশ্বাসের কথা।
উইকেট রক্ষক এই ব্যাটার বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমরা মূল ইভেন্টের জন্য যোগ্যতা অর্জনের অন্যতম দাবিদার। আর সেখানে চ্যালেঞ্জ হল প্রত্যাশা পূরণ করা। আমি আমার দলের সামর্থ্য নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু আমাদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে হবে এবং ধারাবাহিক হতে হবে।’
তরুণ ও অভিজ্ঞদের মিশেলে নিজেদের ভারসাম্যপূর্ণ দল হিসেবেই দেখছেন জ্যোতি। যেখানে তার বাজির ঘোড়া হতে পারেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা পেসার মারুফা আক্তার। কিন্তু তার দেওয়া বক্তব্যের পরই দুঃসংবাদ টাইগ্রেস শিবিরে। চোটের কারণে অভিজ্ঞ জাহানারা আলম ও কোভিড পজিটিভ হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যান ফারজানা হক পিংকি।
টাইগ্রেস দলপতির ভাষ্য, ‘এটি এমন একটি টুর্নামেন্ট যেখানে আমরা মারুফা আক্তারের মতো আমাদের কিছু তরুণ প্রতিভা দেখার সুযোগ পাব যে জোরে বোলিং করে, হার্ড হিটিংয়ের ক্ষমতা রাখে এবং একজন দারুণ ফিল্ডার। আমরা জাহানারা, সালমা, লতা, ফারজানা ও রুমানার মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিজ্ঞদের উপরও নির্ভর করতে পারি। সব মিলিয়ে আমরা বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দলই।’
সামগ্রিক অর্থে নিজেদের লক্ষ্য জানিয়ে জ্যোতি যোগ করেন, ‘আমরা অবশ্যই বাছাই পর্ব উতরাতে চাই। এটা প্রতিপক্ষ বা কন্ডিশনের ব্যাপার নয়। আমরা সবসময় উন্নতিতে মনযোগ দিচ্ছি। আমি মনে করি অভিজ্ঞতা এবং মানের দিক থেকে, আমরা ঠিক অবস্থানেই আছি। ক্রিকেটাররা লম্বা সময় ধরে একসাথে তাই দলের মানসিকতাও চমৎকার।’
টুর্নামেন্ট সামনে রেখে বাংলাদেশ নারী দল আগেভাগেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে যায়। অনুশীলন ক্যাম্প করতে গত ৮ সেপ্টেম্বর দেশ ছেড়েছে টাইগ্রেসরা।