

ঘুরে দাঁড়ানোর উদাহরণ খুঁজতে গেলে বেশি দূরে না গিয়ে এশিয়া কাপ জয়ী শ্রীলঙ্কার দিকে তাকালেই হবে। প্রথম পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাজেভাবে হার দিয়ে শুরু। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে নুরুল হাসান সোহানতো নিজেদেরই স্পষ্ট ফেভারিট বলে এগিয়ে রাখলেন। কিন্তু এরপর বাংলাদেশ তো বটেই, ভারত, পাকিস্তানের মতো দলকে হারিয়ে জিতে নেয় শিরোপাই। এবার সোহান অবশ্য লঙ্কানদের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হওয়ার বার্তা দিলেন।
এমনিতেই ভেঙে পড়া অর্থনীতির সাথে রাজনৈতিক সংকটে নাজেহাল শ্রীলঙ্কা। যে কারণে এশিয়া কাপের আয়োজক হয়েও নিজ দেশে সেটি সম্পন্ন করতে পারেনি। নামে আয়োজক হলেও টুর্নামেন্ট মাঠে গড়িয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
এর বাইরে মাঠের ক্রিকেটেও খুব একটা ভালো সময় পার করছিল না দেশটি। এশিয়া কাপ শুরুর আগে ১০ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে জয় ছিল মাত্র দুইটিতে। তবে এশিয়া কাপে আফগানদের বিপক্ষে হারের পর যেন তেঁতে গিয়েছিল লঙ্কানরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে দুই দলের কোচ, ক্রিকেটাররা মিলে কথার লড়াইটাও ভালো জমিয়ে তোলেন।
চোটের কারণে স্কোয়াডে না থাকলেও নিজের ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশকেই স্পষ্ট এগিয়ে রাখেন সোহান। যেখানে তিনি লিখেন পরিকল্পনা ঠিকঠাক প্রয়োগ করতে পারলে জয়টা কেবল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো, রোমাঞ্চকর ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত শ্রীলঙ্কার।
এরপর সুপার ফোরে কোনো ম্যাচ হারেনি দাসুন শানালার দল। দুই পরাশক্তি ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতে ঘরে তোলে শিরোপা। ফাইনাল সহ টুর্নামেন্টে পাকিস্তানকে হারিয়েছে দুইবার।
আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) মিরপুরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপে টাইগার ব্যাটার সোহান জানালেন ঘুরে দাঁড়ানো লঙ্কানদের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হওয়ার কথা।
তার ভাষায়, ‘বেশ কিছুদিন ধরে শ্রীলঙ্কা দল ভালো করছিল না। কিন্তু এশিয়া কাপে যেভাবে তারা কামব্যাক করেছে সেটা অবশ্যই অনুপ্রাণিত হওয়ার জায়গা। শুধু শ্রীলঙ্কা না সব দল থেকেই কিছু না কিছু শেখার আছে। আমরা মনে করি আমরা খুব ভালো দল, কিন্তু আমাদের মাঠে ফলটা আনতে হবে। এজন্য আমাদের কাছে প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ।’
‘শ্রীলঙ্কার মধ্যে কি আছে এটা বলা আসলে কঠিন। প্রথম ম্যাচে হারের পর ওরা ভালোভাবে কামব্যাক করেছে। হতে পারে মানসিক ভাবে অনেক বেশি শক্ত ছিল ওরা যেটা মাঠে পারফর্মে প্রভাব ফেলেছে। আমরাও যদি এক দুইটা ম্যাচ জিতি বিশ্বকাপে বা নিউজিল্যান্ডে তাহলে আমাদের দলের ভেতরটাও বদলে যাবে।’