

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বদনাম আছে বেশ। এখানে টস জিতে বোলিং নিলেই জয়ের পথে এক পা দিয়ে দেওয়া যায়- এমন তত্ত্ব সবারই জানা। এশিয়া কাপ ২০২২ এও তার ব্যতিক্রম হয়নি। টস জিতে বোলিং নেওয়া দলই এখানে ছড়ি ঘুরাচ্ছে। ফাইনালে টসে জিতে তাই ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিতে একবারও ভাবেননি বাবর আজম।
সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে নামা একাদশ নিয়েই মাঠে নামে শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে শাদাব খান ও নাসিম শাহকে একাদশে ফেরায় পাকিস্তান। অনুমিতভাবেই বাদ পড়েন হাসান আলি ও উসমান কাদির।
বাবর আজমের মুখে হাসি ফোটাতে দেরি করেননি নাসিম শাহ। ইনিংসের ৩য় বলেই কুশল মেন্ডিসকে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ দিয়ে ফেরান নাসিম। ভারতের বিপক্ষে লোকেশ রাহুল, আফগানিস্তানের বিপক্ষে মোহাম্মদ নবি ও ফাইনালে কুশল মেন্ডিসকে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ দেন নাসিম, ৩ জনই হয়েছেন বোল্ড।
তিনে নামা ধনঞ্জয়া ডি সিলভা উইকেটে এসেই পজিটিভ ব্যাটিং করতে থাকেন। যদিও একেবারেই স্বস্তিতে ছিলেন না ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা। ১১ বলে ১ চারে ৮ রান করে হারিস রউফের প্রথম শিকারে পরিণত হন তিনি।
গতির ঝড় তুলে হারিস রউফ ফেরান ধানুশকা গুনাথিলাকাকেও। ১৫০+ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় ছোড়া বলে স্টাম্প উড়ে যায়। ৩৬ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে শ্রীলঙ্কা।
বাঁহাতি ভানুকা রাজাপাকশেকে ফেরাতে ইফতিখার আহমেদকে আক্রমণে আনেন বাবর। যদিও ইফতিখার ফেরান ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে। ২১ বলে ৪ চারে ২৮ রান করে ইফতিখারকেই ক্যাচ দেন ধনঞ্জয়া।
দলকে বিপদে ফেলে শাদাব খানের বলে বোল্ড হন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ৩ বলে ২ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
৫ উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান করা দল ৬ষ্ঠ উইকেটে পায় ঠিক ৫৮ রানের জুটি। যেখানে ভানুকা রাজাপাকশেকে দারুণ সঙ্গ দেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। হারিস রউফের ৩য় শিকার হবার আগে ২১ বলে ৩৬ রানের ক্যামিও খেলেন। ৫ চারের সঙ্গে হাঁকান ১ ছক্কা।
হাসারাঙ্গা ফিরলেও দলকে বড় স্কোর গড়তে সাহায্য করেন রাজাপাকশে। অবশ্য তাকে ফেরাতে একাধিক সুযোগ পেয়েছিল পাকিস্তান। শাদাব খান ক্যাচ ছাড়েন একাধিক, শেষবারে তো চোটও বাধান।
View this post on Instagram
৬ উইকেটে ১৭০ রান করে শেষ করে শ্রীলঙ্কা। ৪৫ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন রাজাপাকশে।
পাকিস্তানের পক্ষে ৩ উইকেট নেন হারিস রউফ। ১ টি করে শিকার নাসিম শাহ, শাদাব খান ও ইফতিখার আহমেদের।