

এশিয়া কাপ ২০২২-এর মেগা ফাইনাল আজ। মুখোমুখি হতে চলেছে পাকিস্তা ও শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের ৩য় নাকি শ্রীলঙ্কার ৬ষ্ঠ শিরোপা? টানা জয়ে উড়তে থাকা লঙ্কানদের সামনে শিরোপা জয়ের লড়াই খুব একটা সহজ হবে না পাকিস্তানের। দু’দলই আজ নামতে পারে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়। ষষ্ঠবার এশিয়া সেরা হওার লক্ষ্যে নামবে দাসুন শানাকার দল। অপরদিকে তৃতীয় বার এশিয়া কাপ জয়ের হাতছানি বাবর আজমের পাকিস্তানের সামনে।
ফাইনালের আগে এশিয়া কাপ সুপার ফোরের শেষ ম্যাচটিতে ৫ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে রিহার্সালটা বেশ ভালোভাবেই করল শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার টানা চার জয়। ফাইনালে নামার আগে দলটি আছে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে।
এর আগে এশিয়া কাপের ফাইনালে মোট ৩ বার মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। ১৯৮৬ সালের ফাইনালে শ্রীলঙ্কা পায় ৫ উইকেটের জয়। এরপর ২০০০ সালের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৩৯ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম শিরোপা জিতে পাকিস্তান। ২০১৪ সালের ফাইনালে দু’দল ফের মুখোমুখি হয়। সেবার ৫ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয় লঙ্কানরা। আগের এই তিন ফাইনালের তিন আসর হয়েছিল ওয়ানডে ফরম্যাটে।
এবার পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার ফাইনাল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। বেশ দাপট দেখিয়ে ফাইনালে উঠেছে দু’দল। দুবাইয়ে যে আজ রাতে জমজমাট এক লড়াই হবে তা বুঝতে পারছে দু’দেশের সমর্থকরাই।
দুই দলেরই প্রধান অস্ত্র স্পিন। একদিকে ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা এবং মাহেশ থিকশানার স্পিন জুটি, তেমনই অন্যদিকে রয়েছে শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজ। পেস অ্যাটাকেও দু’দল সমানে-সমান। নাসিম শাহ, হারিস রউফ, হাসনাইনদের টক্কর দেওয়ার জন্য প্রস্তুত দিলশান মাদুশাঙ্কা, চামিকা করুণারত্নে ও প্রমোদ মাদুশান।
পাকিস্তান ফাইনালের মঞ্চে সহজে আসলেও ব্যাটিংয়ে তাদের ব্যর্থতা রয়ে গেছে। পাকিস্তানের মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা দেখা গেছে সুপার ফোরের শেষ দুই ম্যাচে। যেটা দলকে ভোগাতে পারে। যদিও পাক অধিনায়ক বাবর আজম মনে করেন, ফাইনালে তাঁরা ভুলত্রুটি শুধরে খেলতে নামবেন।
দুবাই পিচের চরিত্র এখনও অবধি যেমন ছিল, এই ম্যাচেও তার থেকে পৃথক কিছু হওয়ার কথা নয়। তবে ফাইনালেও সবকিছু ছাপিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে টস। চলমান এশিয়া কাপের ধারাবাহিকতা দেখলে বোঝা যায়, টস জেতা মানেই ম্যাচ জেতা। টস জিতে প্রথমে বল, পরে রান তাড়া করে ম্যাচ জয়। এখন দেখার অপেক্ষা ফাইনালে টস ভাগ্য কাদের সহায় হয়।
পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ:
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), ফখর জামান, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, আসিফ আলি, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাদাব খান, নাসিম শাহ, হারিস রউফ এবং মোহাম্মদ হাসনাইন।
শ্রীলঙ্কার সম্ভাব্য একাদশ:
পাথুম নিসাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটকিপার), ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দানুশকা গুনাথিলাকা, ভানুকা রাজাপাকসে, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহেশ থিকশানা, দিলশান মাদুশাঙ্কা, চামিকা করুণারত্নে এবং প্রমোদ মাদুশান।