

চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাত্র ১৯৬ রানের টার্গেট দিয়েই ১১৩ রানের বড় জয় পেয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। সবকটি উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড থেমেছে মাত্র ৮২ রানে। অ্যাডাম জাম্পার ঝুলিতে পাঁচ উইকেট। আর তাতেই চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি ফিরিয়ে আনল অ্যারন ফিঞ্চের দল।
অস্ট্রেলিয়ার করা ১৯৫ রান টপকাতে নেমে স্টার্ক-অ্যাবট-জাম্পাদের তোপের সামনে পড়ে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপ হয়ে যায় কিউই ব্যাটিং লাইন। ৪ ব্যাটসম্যান ছাড়া কেউ পৌঁছাতে পারেনি দুই অংকের ঘরে। সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। মিচেল স্যান্টনার অপরাজিত থাকেন ১৬ রানে। মাঝে ড্যারিল মিচেল ১০ ও মাইকেল ব্র্যাসওয়েল আউট হয়েছেন ১২ রানে।
একজন বোলার হ্যাটট্রিক করতেই পারে, ওভারে ৪ টা উইকেট পেতেই পারে; এটা স্বাভাবিক। কিন্তু একটানা ২৮টা ডট বল, সাথে ২ উইকেট এইটা অস্বাভাবিক, অনন্য! অজি পেসার শন অ্যাবট এমন কীর্তিই গড়েছেন আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ৫ ওভার বল করে কেবল খরচ করেন ১ রান। ৪ মেডেনসহ পেয়েছেন ২টি উইকেট।
অপরদিকে অ্যাডাম জাম্পা তুলে নেন ৩৫ রান খরচায় পাঁচ উইকেট। আর তাতেই মাত্র ৮২ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারী দল। ১১৩ রানের বড় জয়ে চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি অস্ট্রেলিয়ার ঘরে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি অজিদের। স্কোরবোর্ডে ৭ রান ওঠতেই নেই দুই ওপেনার। ম্যাট হেনরির দাপুটে বোলিংয়ের সামনে পড়ে ডেভিড ওয়ার্নার ৫ ও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ বিদায় নেন শূন্য হাতে।
এরপর জোড়া আঘাত হানেন ট্রেন্ট বোল্ট। চারে নামা মারনাস লাবুশেইন করেন ৫, মার্কাস স্টয়নিস ৬ বল খেলে মারেন ডাক। মাঝে অ্যালেক্স ক্যারির ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। উইকেটে থাকা স্মিথ এরপর লড়াই চালান গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে। এই জুটিতে অস্ট্রেলিয়া এগোয় বেশ কিছু পথ।
তবে ৫০ বলে ২৫ রান করা ম্যাক্সওয়েলকে বিদায় করে নিজের তৃতীয় উইকেট ঝুলিতে নেন বোল্ট। দলীয় ১০৩ রানে ৬ষ্ঠ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। শন অ্যাবট ৭ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে উইকেটের আরেক প্রান্তে সচল থেকে ফিফটি পূর্ণ করেন স্টিভ স্মিথ। ইনিংস বড় করার আগেই স্মিথকে ফিরিয়ে দেন টিম সাউদি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৯৪ বল খেলা স্মিথ ৫ চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে খেলেন ৬১ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস। বোল্টের চার নম্বর শিকার ১৬ রান করা অ্যাডাম জাম্পা।
মিচেল স্টার্ক এবং জশ হ্যাজেলউড দশম উইকেটে ৪৭ রানের জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়াকে কিছুটা উদ্ধার করে। শেষপর্যন্ত স্টার্ক ৩৮ ও হ্যাজেলউড ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ৯ উইকেট খুইয়ে ১৯৫ রানে থামে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। বোল্ট-হেনরির দখলে ৭ উইকেট।
কিউইদের হয়ে বল হাতে ৩৮ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৪ উইকেট ট্রেন্ট বোল্টের ঝুলিতে। এছাড়া ম্যাট হেনরি ৩৩ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ৩টি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
অস্ট্রেলিয়া ১৯৫/৯ (৫০), ওয়ার্নার ৫, ফিঞ্চ ০, স্মিথ ৬১, লাবুশেইন ৫, স্টয়নিস ০, ক্যারি ১২, ম্যাক্সওয়েল ২৫, অ্যাবট ৭, স্টার্ক ৩৮*, জ্যাম্পা ১৬, হ্যাজেলউড ২৩*; বোল্ট ১০-২-৩৮-৪, হেনরি ১০-০-৩৩-৩, সাউদি ১০-০-৩৯-১, স্যান্টনার ৭-১-২২-১
নিউজিল্যান্ড ৮২/১০ (৩৩), গাপটিল ২, কনওয়ে ৫, উইলিয়ামসন ১৭, ল্যাথাম ০, মিচেল ১০, ব্রেসওয়েল ১২, নিশাম ২, স্যান্টনার ১৬*, সাউদি ২, হেনরি ৫, বোল্ট ৯; স্টার্ক ৭-০-১২-২, অ্যাবট ৫-৪-১-২, জ্যাম্পা ৯-০-৩৫-৫, স্টয়নিস ৩-০-১৪-১
ফলাফলঃ অস্ট্রেলিয়া ১১৩ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরাঃ মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া)।