

৫০ ওভারে জয়ের জন্য লক্ষ্য ২৩৩। আধুনিক যুগে এই লক্ষ্যকে সহজই বলতে হয়। তবে ৪৪ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে সহজ কাজ কঠিন করে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে অ্যালেক্স ক্যারি ও ক্যামেরুন গ্রিনের দাপুটে জুটিতে জয় পায় অজিরা।
কুইন্সল্যান্ডের ক্যাজালি’স স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে পাঠান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।
টপ অর্ডারে মার্টিন গাপটিল (৬) ব্যর্থ হলেও রান পান ডেভন কনওয়ে, কেন উইলিয়ামসন, টম ল্যাথামরা। তবে এই তিন ব্যাটারই ৪০ পার করেও ৫০ পার করতে পারেননি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন ডেভন কনওয়ে (৪৬)।
উইলিয়ামসন ৭১ বলে ৪৫ রান করেন, ল্যাথামের অবদান ৫৭ বলে ৪৩ রান। এরপর আর ২০ এর গন্ডি পার করেননি ড্যারিল মিচেল (২৬) ছাড়া কেউই।
৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৩২ রানে থামে নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৩ উইকেট নেন জশ হ্যাজেলউড, ১ টি করে শিকার মিচেল স্টার্ক ও অ্যাডাম জ্যাম্পা।
জবাব দিতে নেমে ৫০ এর আগেই ৫ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার ২০ রান করলেও দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি অ্যারন ফিঞ্চ (৫), স্টিভ স্মিথ (১), লাবুশেইন (০), স্টয়নিস (৫)।
সেখান থেকে ১৫৮ রানের জুটি গড়েন অ্যালেক্স ক্যারি ও ক্যামেরুন গ্রিন। ৯৯ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে ৮৫ রান করে আউট হন ক্যারি। তবে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন গ্রিন। ৯২ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে ৮৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
৩০ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় অজিরা, ম্যাচসেরা হন ক্যামেরুন গ্রিন।
৩ ম্যাচ সিরিজের ২য় ওয়ানডে ৮ সেপ্টেম্বর, শেষ ম্যাচ ১১ সেপ্টেম্বর।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
নিউজিল্যান্ড ২৩২/৯ (৫০), গাপটিল ৬, কনওয়ে ৪৬, উইলিয়ামসন ৪৫, ল্যাথাম ৪৩, মিচেল ২৬, ব্রেসওয়েল ৭, নিশাম ১৬, স্যান্টনার ১৩, হেনরি ৪, ফার্গুসন ৫*, বোল্ট ৬*; স্টার্ক ৯-২-৪৩-১, হ্যাজেলউড ১০-১-৩১-৩, জ্যাম্পা ১০-০-৩৮-১, ম্যাক্সওয়েল ১০-০-৫২-৪
অস্ট্রেলিয়া ২৩৩/৮ (৪৫), ওয়ার্নার ২০, ফিঞ্চ ৫, স্মিথ ১, লাবুশেইন ০, স্টয়নিস ৫, ক্যারি ৮৫, গ্রিন ৮৯*, ম্যাক্সওয়েল ২, স্টার্ক ১, জ্যাম্পা ১৩*; বোল্ট ১০-২-৪০-৪, হেনরি ১০-০-৫০-২, ফার্গুসন ৯-০-৬০-২
ফলাফলঃ অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরাঃ ক্যামেরুন গ্রিন (অস্ট্রেলিয়া)।