

এশিয়া কাপের শুরুতে ঘোষিত স্কোয়াডে ওপেনার হিসেবে কেবল এনামুল হক বিজয় ও পারভেজ হোসেন ইমনকে রাখা হয়। তবে শেষ মুহূর্তে যুক্ত করা হয় নাঈম শেখকে। এমনকি দুই ম্যাচে একাদশেও জায়গা পেয়ে যান এই বাঁহাতি। যথারীতি হয়েছেন ব্যর্থ, অথচ নিয়মানুসারে সেরা একাদশে ইমনেরই সুযোগ পাওয়ার কথা।
প্রথম ঘোষিত দলটা নিশ্চিতভাবেই নির্বাচকদের সেরা দল হয়ে থাকে। পরে কারও চোট কিংবা অন্য কোনো কারণে বাইরে থেকে বিকল্প যুক্ত করা হয়। সে হিসাবে প্রথমে বিজয়-ইমন এবং পরে নাঈমকে নেওয়াটা নির্বাচকদের সিদ্ধান্তে দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকার বিষয়টি ইঙ্গিত করে।
এশিয়া কাপে কোনো ম্যাচ না খেকা ইমন বিশ্বকাপ কিংবা নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে নাও থাকতে পারেন। অন্তত দল নির্বাচনের প্রক্রিয়া এমনটাই বার্তা দেয়। ব্যাপারটা খালি চোখে ইমনের মতো তরুণের জন্য কষ্টের মনে হতে পারে। তবে ঠিক সেভাবে ভাবছে না নির্বাচকরা।
আফগানিস্তানের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়ে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ। নাঈম-ইমন জটিলতা নিয়ে আজ (৫ সেপ্টেম্বর) মিরপুরে কথা বলেন নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক।
সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া তার ব্যাখ্যা, ‘আমি বলবোনা এটা কষ্টকর। ইমন একদমই তরুণ খেলোয়াড়। ইমনকে আমরা এই পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বলতে পারেন নেওয়া হয়েছে। আর ও যদি দলে নাও থাকে তবুও আমাদের বিবেচনায় ঠিকই থাকবে।’
‘এখনো নিশ্চিত না সে আছে কি নাই! যদি না থাকে তখনো সে আমাদের ঐ গ্রুপ অফ প্লেয়ারের মধ্যে থাকবে। সে বাইরে যাচ্ছে না কারণ সে আমাদের ভবিষ্যত খেলোয়াড়। এরকম হয় টি-টোয়েন্টিতে কিছু বিশেষজ্ঞ তৈরি করা, হয়তোবা সে হতে পারে।’
এদিকে টানা ব্যর্থ নাঈম শেখকে টেনে নেওয়া হলে সৌম্য সরকারও সুযোগ পাওয়ার দাবিদার। এমনটাই বলছে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
এ নিয়েও নিজের মত জানালেন রাজ্জাক, ‘দেখেন সৌম্য সরকার কিন্তু আমাদের টার্গেটেড গ্রুপ অব খেলোয়াড়ের বাইরে না। এখনো আছে। নাঈম শেখও তার মধ্যে। আমাদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এর মধ্য থেকেই করতে হয়। কারণ এর বাইরে জাতীয় দলে নিয়ে নেওয়ার মতো ক্রিকেটার আছে বকে আমার মনে হয় না।’
‘তো এরা (সৌম্য-নাঈম) আমাদের ঐ গ্রুপেই আছে, কাউকে বিবেচনার বাইরে রাখা হচ্ছে না। আমরা অবশ্যই চেষ্টা করবো সবচেয়ে সেরা দলটা যেন বিশ্বকাপে যেতে পারে। আমাদের যে শক্তিমত্তা তার মধ্যে যেন সেরা দলটা হয়।’