

ক্রিকেটে বোলারের নো বল করা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। তবে স্পিনারদের নো বল করা সেভাবে দেখা যায় না। অথচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিততেই হবে এমন ম্যাচে শেখ মেহেদী হাসানের করা দুই নো বল শ্রীলঙ্কার জয়ের পথ সুগম করেছে।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা কুশল মেন্ডিস পেয়েছেন একাধিক সুযোগ। ক্যাচ ছেড়েছেন মুশফিকুর রহিম, ক্যাচ ধরলেও করেননি রিভিউ।
মেহেদী হাসানের বলে মুশফিক ক্যাচ ধরলেও কুশল বেচেছেন মেহেদী নো বল করাতে। পরে শেষ ওভারে ৩য় বলও নো বল করেন মেহেদী। যেখানে দৌড়ে ২ রান নিয়ে জয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন স্পিনারের এমন নো বল করা কার্যত ক্রাইম। মেহেদীর এই দুই নো বলকে টার্নিং পয়েন্টও বলেন তিনি।
‘টার্নিং পয়েন্ট তো হতেই পারে সেটা (নো বল)।… অনেক সময় পেস বোলাররা নো বল করে। স্পিনারদের নো বল করা অবশ্যই ক্রাইম। সাধারণত আমাদের স্পিনাররা কখনও এরকম নো বল করে না। আজকে যেহেতু একটা চাপের ম্যাচ ছিল, বোঝা গেল যে আমরা চাপে এখনও কতটা ভেঙে পড়তে পারি। তাই এই জায়গাগুলোতে আমাদের অবশ্যই উন্নতি করতে হবে।’
‘কোনো অধিনায়কই চায় না, নো বল হোক। অবশ্যই এটা একটা অপরাধ। স্পিনার নো বল করলে সেটি বড় একটা ক্রাইম। তবে আমাদের আরও অনেক জায়গা আছে উন্নতি করার। আজ আমরা অনেক নো আর ওয়াইড করেছি, যেটি সুশৃঙ্খল বোলিং নয়। আমরা চাপে ছিলাম, বুঝতে পারছিলাম না কী করা উচিত। এটা এমন একটা চাপের ম্যাচ, সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যেখান থেকে আমরা শিখতে পারি।’
শুধু মেহেদী হাসানই নয়, একাধিক নো বল করেছেন অভিষিক্ত ইবাদত হোসেনও, দিয়েছেন একাধিক ওয়াইডও। শুরুটা ভালো করলেও শেষটা করেছেন হতশ্রী। সাকিব সংবাদ সম্মেলনে বলেন তিনি ভেবেছিলেন ইবাদতই তাদের সেরা বোলার হবেন। তেমনটা হয়নি, বাংলাদেশও হেরেছে, বিদায় নিয়েছে এশিয়া কাপ থেকে।