

এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশ দলের স্কোয়াড ঘোষণার পর থেকে আলোচনায় ওপেনিং কম্বিনেশন। স্কোয়াডে ওপেনার ছিলেন কেবল এনামুল হক বিজয় ও পারভেজ হোসেন ইমন। পরে যুক্ত করা হয় মোহাম্মদ নাঈম শেখকেও। প্রথম ম্যাচে বিজয়-নাঈম জুটি ব্যর্থ হয়, অনেকটা বাধ্য হয়েই ২য় ম্যাচে বদল হয় জুটি।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাব্বির রহমানের সঙ্গে ওপেনিং করতে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আগের দিন খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছিলেন, বেশি রান নয়, ইন্টেন্ট টি-টোয়েন্টি সুলভ দেখলেই খুশি তিনি।
সাব্বির-মিরাজ জুটিতে ১৯ রান আসলেও ইন্টেন্ট ছিল স্পষ্ট। নিজের খেলা প্রথম ডেলিভারিতে দিলশান মাদুশঙ্কার বলে প্যাডল সুইপ করে বাউন্ডারি আদায় করে নেন সাব্বির। অবশ্য অভিষিক্ত আসিথা ফার্নান্দোর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরা সাব্বিরের (৫) স্ট্রাইক রেট ছিল ৮৩.৩৩।
সাব্বির ফেরার পর রান প্যাডেলে পা দেন মিরাজ। সাব্বির আউট হবার সময় মিরাজের রান ছিল ১১ বলে ১০।
মাহিশ থিকশানার বলে লং অফের উপর দিয়ে ছক্কা মেরে শুরু। পরে আসিথা ফার্নান্দোর বলে স্কুপ করে হাঁকান ছক্কা। সেই ওভার থেকে বাই চার সহ রান আসে ১৮। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশ সাব্বিরের উইকেট হারিয়ে তোলে ৫৫ রান।
ক্যারিয়ার সেরা ৩৮ রানের ইনিংস খেলে ৭ম ওভারের ৫ম বলে আউট হন মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার গুগলিতে চালিয়ে খেলতে লাইন মিস করে বোল্ড হন। ২৬ বলে ২ টি করে চার ও ছক্কায় ৩৮ রান করেন মিরাজ।
মিরাজ আউট হবার পরের ওভারে ফেরেন মুশফিকুর রহিমও। ৫ বল খেলে কোন বাউন্ডারি ছাড়া ৪ রান করেন তিনি।
প্রথম ১৩ বলে ১১ রান করা সাকিব পরে রান বাড়ান। মাহিশ থিকশানাকে ড্রাইভ করে প্রথম বাউন্ডারি আদায় করেন। পরের ওভারে চামিরা করুনারত্নেকে স্কুপ করে মারেন টানা দুই বাউন্ডারি। যদিও থিকশানার ফ্লাইটে বিভ্রান্ত হয়ে বোলদ হন। ২২ বলে ৩ চারে করেন ২৪ রান।
৮৭ রানে ৪ উইকেট হারাবার পর আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জুটি থেকে আসে ৫৭ রান।
বাংলাদেশের ইনিংসের সবচেয়ে প্রোডাক্টিভ শট স্কুপে দৃষ্টিনন্দন কিছু বাউন্ডারি আদায় করা আফিফ করেন ২২ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান। ধীরে শুরু করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফেরেন ২২ বলে ১ টি করে চার ও ছয়ে ২৭ রান।
শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ৯ বলে অপরাজিত ২৪ রানের ক্যামিওতে বাংলাদেশ থামে ৭ উইকেটে ১৮৩ রান করে। ৯ম ব্যাটার হিসাবে নামা তাসকিন আহমেদ ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১১ রান করে।