

বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি ব্যর্থতার গল্প বলতে গেলে ক্রিকেটার, টিম ম্যানেজমেন্টের একটাই দোহাই পাওয়ার হিটিং। পেশি শক্তির অভাবে পাওয়ার হিটার খুঁজে পাওয়া যায় না বলে বলে নিজেদের দোষ কাটানোর যত অজুহাত। এবার সে তালিকায় যোগ হয়েছে বিসিবি পরিচালক নাইমুর রহমান দুর্জয়।
গতকাল (৩০ আগস্ট) আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরে এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে শারজাহ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের খানিক মন্থর উইকেটে সাকিব আল হাসানের দল ১২৭ রানের বেশি করতে পারেনি। পুরো ইনিংসে একমাত্র ছক্কা ৩১ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাটে।
জবাবে শুরুর দিকে কিছুটা পিছিয়ে পড়া আফগানদের পথ সহজ করে দেন নাজিবউল্লাহ জাদরান। শেষ ৬ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৬৩ রান, যা ২৭ বলেই নিয়ে নেয়। জাদরান অপরাজিত ছিলেন ১৭ বলে ৬ ছক্কা ১ চারে ৪৩ রান করে।
টাইগারদের খেলা দেখতে বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সহ বেশ কয়েকজন পরিচালক। গতকাল ম্যাচ শেষে শারজাহতে বাংলাদেশী সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলেন নাইমুর রহমান দুর্জয়। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বারবার হারের পেছনে পাওয়ার হিটিংকে টেনে এনেছেন।
ম্যাচ নিয়ে তার ব্যাখ্যা, ‘আমরা শুরু থেকেই ধুঁকছিলাম। বিশেষ করে আমাদের টপ অর্ডার। আমরা পাওয়ার প্লেতে যেমন কাজ করতে পারিনি, তেমনই ম্যাচটি হাতের মুঠোয় আসার পরে বোলিংয়ে রান রেট দশের বেশি নিয়ে গেলাম। তারপর একটা-দুটা ওভার (রান বেশি দিলাম)। আমার কাছে মনে হলো যে আমরা পাওয়ার হিটিংয়ের কাছে হেরে গেছি।’
‘ঘরের মাঠে আমরা যে উইকেটে খেলি আমাদের বোলাররা অভ্যস্ত এবং সহায়তা পায়। এখানে সেই সুযোগ থাকে না, আইসিসি-এসিসির আসরে। সেখানে আসলে ব্যাটসম্যানদের আগ্রাসনটা যেরকম জরুরি, তেমনি পাওয়ারটা (হিটিং) জরুরি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদের আরও আগ্রাসী হতে হবে।’
মনের দিক থেকে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা এগোলেও শারীরিক দিক থেকে যতদিন আগ্রাসী হওয়া যাবে না ততদিন উন্নতি সম্ভব নয় বলছেন দুর্জয়।
তার ভাষায়, ‘আমাদের মানসিক আগ্রাসন আছে, কিন্তু শারীরিক যে পাওয়া হিটিংয়ের কথা বলি সেটা না থাকলে টি-টোয়েন্টিতে সংগ্রাম করতে হবে, যে কেউ সংগ্রাম করবে।’