

বাংলাদেশ দলের হারা ম্যাচে বেশির ভাগ সময়ই অধিনায়কের আক্ষেপ থাকে ১০-১৫ রানের। টি-টোয়েন্টিতে ব্যর্থতার গল্পটা আরও একবার লিখলো বাংলাদেশ, এশিয়া কাপ মিশন শুরু আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের পরাজয়ে। হারা ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সাকিব ঘুরে ফিরে সেই ১০-১৫ রানের আক্ষেপেই পুড়ছেন।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের অপরাজিত ৩১ বলে ৪৮ রানের ইনিংসে ভর করে টাইগাররা করতে পেরেছে সাকূল্যে ১২৭ রান। ব্যর্থ হয়েছে টপ অর্ডার, মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা।
জবাবে ৯ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় আফগানিস্তান। শেষ দিকে নাজিবউল্লাহ জাদরান ঝড়ে জয়ের ভালো সুযোগ থাকলেও সেটি হারায় বাংলাদেশ। ফলে টানা দুই ম্যাচ জিতে সুপার ফোরে সবার আগে আফগানরা।
১২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি আফগানিস্তান। ১৪ ওভারে ৩ উইকেটে হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৬৫ রান উঠে। শেষ ৬ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল আরও ৬৩! অথচ জাদরান ঝড়ে ২৭ বলেই কাজ শেষ করে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়নরা। ১৭ বলে ৬ ছক্কা ও ১ চারে ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন জাদরান।
ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে টাইগার দলপতি সাকিব হারের ব্যাখ্যায় শোনালেন পুরোনো গল্প, ‘প্রথম ৭-৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেললে সবসময়ই কাজটা কঠিন (নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসে ২৮ রানে ৪ উইকেট)। তবে আমি মনে করি আমরা ১০-১৫ রান কম করেছি।’
‘আমার মতে, বোলাররা অসাধারণ বোলিং করেছে। প্রথম ১৫ ওভারে আমরা ভালোভাবেই ম্যাচে ছিলাম। শেষ ৫-৬ ওভারে তারা ম্যাচটা আমাদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। তবে কৃতিত্ব অবশ্যই আফগানিস্তানের, তারা খুব ভালো খেলেছে।’
স্রোতের বিপরীতে মোসাদ্দেকের ইনিংসটি ছিল দারুণ, তবে তার একক প্রচেষ্টা দল হিসেবে খুব বেশি কাজে আসেনি। অধিনায়ক সাকিবও সেটাই তুলে ধরলেন। তবে কৃতিত্ব দিতে ভুলেননি প্রতিপক্ষ ব্যাটার জাদরানকে।
‘মোসাদ্দেক আমাদের হয়ে কাজটা করেছে। দুর্ভাগ্যবশত এটি যথেষ্ট ছিল না। আমাদের আরও কিছু অবদান প্রয়োজন ছিল, যা পাইনি। আমরা জানি নাজিবউল্লাহ একজন ভয়ঙ্কর খেলোয়াড়। শেষ ৬ ওভারে তাদের ৬০+ রান দরকার ছিল। এমন উইকেটে আমরা ভেবেছিলাম ম্যাচটি আমাদের হাতে আছে। কিন্তু কৃতিত্ব তাদেরই, যেভাবে ব্যাটিং করেছে।’