হার্দিক যেন বর্তমান সময়ের মাহেন্দ্র সিং ধোনি

f5617a77277bac8d4012e646da8751a3
Vinkmag ad

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ম্যাচে শেষ ৪ বলে ভারতের প্রয়োজন ছিল ৬ রান। বামহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নেওয়াজের ৩য় বলটি কাভারে সপাটে হাঁকিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে ফিল্ডারকে ভেদ করে বাউন্ডারিতে যেতে পারেনি।

ডাগআউটে খেলোয়াড় ও গ্যালারিতে দর্শকদের মধ্যে তখন উৎকন্ঠা। নন স্ট্রাইক এন্ডে দীনেশ কার্তিককে ইশারায় অভয় দিলেন,

‘আমি আছি তো!’

ঠিক পরের বলেই লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দিলেন সেই হার্দিক পান্ডিয়াই। রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে হার্দিকের ম্যাচজয়ী ইনিংস যেন মনে করিয়ে দেয় ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও ফিনিশার মাহেন্দ্র সিং ধোনিকে। ম্যাচ শেষে অবশ্য ধোনীর সেই কৌশল নিজের মাঝে ধারণ করার কারণটাও ব্যাখ্যা করেন হার্দিক।

১৭ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন হার্দিক। ৪ চার ও ম্যাচজয়ী ছক্কা ছিল তার ইনিংসে। ম্যাচ শেষে স্টার স্পোর্টসে গৌতম গম্ভীর ও সঞ্জয় বাঙ্গারকে তিনি জানান, ধোনী এমন ম্যাচগুলো হরহামেশাই লক্ষ্য তাড়া করে জেতাতো দলকে।

‘স্বাভাবিক থাকার সবরকম চেষ্টা নিজের মধ্যে করি। এমনটা মাহি (ধোনী) ভাইও করতো। যতবার উনার সাথে খেলেছি, আমি তাকে খুব একটা প্রশ্ন করতাম না। তবে আমি নিজে একজন ক্রিকেটার হিসেবে শুধু উনি, আরও অন্যান্য যত খেলোয়াড় যাদের সাথে খেলেছি, তাদের কাছ থেকে যতটুকু যা শেখার, আমি শিখেছি। আমার মতে, যেকোন সিদ্ধান্তে আপনাকে শান্ত থাকতে হবে এবং তখনকার পরিস্থিতিকে বেশি ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। আপনার বুদ্ধিমত্তা অনুযায়ী সিন্ধান্ত নিতে হবে।’

‘ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে কিছু ব্যাপার নিজের মধ্যে চেষ্টা করেছি। আমি চিন্তা করলাম আমার কি কি বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। এ খেলা আমার কাছে ১৫ ওভার থেকে শুরু হয়েছিল। আমি জানি, পাকিস্তানের যে ডেথ বোলার নাসিম শাহ, তার প্রথম ম্যাচ ছিল ঐদিন। আমি বুঝলাম ব্যাট চালাতে গিয়ে উপর বা নিচে হতে পারে। সেক্ষেত্রে নাসিমের ওভারে রান না আসলেও সমস্যা নেই। কেননা ওদের বাম হাতি স্পিনারের এক ওভার বাকি ছিল। সে ওভারে ওভার রেটও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই এসব কিছু ভেবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হই,’ বলেন হার্দিক।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

‘টলারেন্স ওভাল’ আরব-আমিরাতের চতুর্থ আন্তর্জাতিক ভেন্যু

Read Next

চোট নিয়ে বাড়ি ফিরছেন মার্শ, স্কোয়াডে ইংলিস

Total
1
Share