

এশিয়া কাপ ২০২২ শুরু হবার আগ থেকেই বাংলাদেশ দলে চোটের মিছিল। দলে যেসব খেলোয়াড়ের জায়গা পাকা বলেই ধরা হয় তাদের হারিয়ে শক্তি হারায় টাইগার শিবির। লিটন দাস, ইয়াসির আলি রাব্বি, নুরুল হাসান সোহান, হাসান মাহমুদদের ছাড়াই মরুর বুকে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে অংশ নিতে এসেছে সাকিব আল হাসানের দল।
অনেকটা বাধ্য হয়েই ওপেনার নাঈম শেখকে দলে নিতে হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে ধীরে ব্যাটিং করার অপবাদ তার ক্যারিয়ার শুরু হবার পর থেকেই সঙ্গী। তবে এই নাঈম শেখই এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ওপেন করার পথে এগিয়ে আছেন। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম অবশ্য নাঈম শেখের রেকর্ড নিয়ে বিচলিত নন। বরং তিনি বলছেন নাঈম শেখের বল মারার সামর্থ্য সহজাতই। আর তার দলে নাঈমের কাজ বল দেখা আর মারা!
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে শ্রীধরন শ্রীরাম বলেন, ‘নাঈম শেখের বল মারার সামর্থ্য সহজাত। আর তার সঙ্গে হওয়া যোগাযোগ বেশ পরিষ্কার। আমি নিশ্চিত সে মাঠে তার সহজাত খেলাটা খেলবে, যেটা হচ্ছে বল দেখো আর মারো। আমরা নাম্বার বা অন্য কিছু নিয়ে বিচলিত নই। আমরা পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে চাই। খেলোয়াড়দের উইকেটের অবস্থা দ্রুত বুঝে পার্টনারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
শ্রীরামের মতে বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের পাওয়ার হিটিংয়ের সামর্থ্য আছে বেশ। তবে তাদের স্বাধীনভাবে খেলার লাইসেন্স দিতে হবে।
‘আমি মনে করি এটা আছে (বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের পাওয়ার হিটিংয়ের সামর্থ্য)। আমাদের তাদের স্বাধীনভাবে খেলার স্বাধীনতা দিতে হবে। আমরা এটা নিয়ে কথা বলেছি। পাওয়ার হিটিংয়ের সামর্থ্য নিশ্চিতভাবেই আছে, তাদের কেবল স্বাধীনতা দিতে হবে।’
বাংলাদেশ দলের সঙ্গে এশিয়া কাপের আগে যোগ দেওয়া শ্রীরাম বিচলিত নন মুস্তাফিজুর রহমানের অ্যাওয়েতে রেকর্ড নিয়েও। অনুশীলনে বরং তাকে ডানহাতিদের বিপক্ষে বল ভেতরে ঢোকানো দেখে মুগ্ধ তিনি। মুস্তাফিজ ভয়ঙ্কর হবেন বলেই বিশ্বাস তার।
শ্রীরাম বলেন, ‘সত্যিই? (মুস্তাফিজের অ্যাওয়ে রেকর্ড ভালো না?) নেটে যেভাবে সে বল করছে… সে যেভাবে ডানহাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে বল সুইং করে ভেতরে ঢোকাচ্ছে, সে খুবই ভয়ঙ্কর। সে যখন ডানহাতিদের বিপক্ষে বল সুইং করিয়ে ভেতরে ঢোকাচ্ছে তখন সে তার সেরা ফর্মে। আর আমরা বিশ্বাস করি সে সেরা সময়ই পার করছে।’
শ্রীরাম আগলে রাখছেন দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমকেও। আর সেটা তাদের ওয়ার্ক এথিকের জন্য। তার বিশ্বাস সফল হবার রসদ দুজনের মধ্যেই আছে।
‘তাদের ওয়ার্ক এথিক খুবই ভাল। তারা উদাহরণ তৈরি করেছে। অপশনাল ট্রেনিংয়েও তারা অবদান রাখতে চায়। আমরা তাদের কাছে কেবল কঠোর পরিশ্রম চেয়েছি। যখন তারা তাদের ভূমিকা পালন করবে তাদের সফল হবার মত।’