দুই দশকের বেশি সময় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা অলক কাপালি এবার বিদায় বললেন। জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার মূলত তরুণদের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে নিজেকে আর টেনে নিচ্ছেন না। যদিও ঘরোয়া একদিন ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন আরও কিছুদিন।
৩৯ ছুঁইছুঁই বয়সী অলক ২০০০-০১ মৌসুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নাম লেখান। এরপর খেলে ফেলেছেন ১৭২ টি ম্যাচ। যেখানে প্রায় ৩৪ গড়ে ২০ সেঞ্চুরির সাথে ৩৭ ফিফটিতে রান করেছেন ৯১৩৮। লেগ স্পিনে উইকেট নিয়েছেন ২১৭ টি।
গত বছর সিলেট বিভাগের হয়ে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে খেলা ম্যাচটিই তার সর্বশেষে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। আজ (২৯ আগস্ট) নিজের ফেসবুক পেইজে পোস্ট দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত মুখ অলক নিশ্চিত করেছেন অবসরের বিষয়টি।
তিনি লিখেন, ‘আমি ২০০০-০১ মৌসুম থেকে দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশী সময় ধরে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলে আসছি। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি ফরমাম্যাটে অংশগ্রহন করেছি । এই দীর্ঘ পথচলায় অনেকেই আমাকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন, উনাদেরসহ সকল শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ীর কাছে আমি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি ।’
‘আমি বাংলাদেশ ও বৃহত্তর সিলেটের ক্রিড়াঙ্গনের অংশ হতে পারায় গর্বিত। আমি মনে করি এখন তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য আরো বেশী প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার সুযোগ করে দেওয়া উচিত । তরুণ ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে আসার জন্য এবং আমার পরিবারকে বেশী সময় দেওয়ার লক্ষ্যে আমি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টির মতো সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট ঠিকই চালিয়ে যাবেন এই ক্রিকেটার।
এ প্রসঙ্গে যোগ করেন, ‘আমি ২০২২/২৩ মৌসুম থেকে শুধুমাত্র লিমিটেড ওভার ক্রিকেট (ওডিআই, টি-টোয়েন্টি ইত্যাদিতে) অংশগ্রহণ করবো। আমি বৃহত্তর সিলেটের ক্রিকেটের সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করছি। সিলেটের ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য যেকোনো সহায়তার জন্য আমি সাধ্যমত চেষ্টা করবো প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি।’
২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গায়ে উঠে বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট জার্সি। তবে খেলতে পেরেছেন সাকূল্যে ১৭ টেস্ট। সর্বশেষ টেস্ট খেলেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ২০০৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে তুলে নেন প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে হ্যাটট্রিক।
অলক বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ৬৯ ওয়ানডে ও ৭ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ২০০৮ সালে অবৈধ ক্রিকেট লিগ আইসিএলে যোগ দিয়ে দেশের ক্রিকেট থেকেও নিষিদ্ধ হন। পরে অবশ্য সাজা মওকুফ করে বিসিবি, ফিরে এসে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আলাদা নজর কাড়েন।
কিন্তু আন্তর্জাতি ক্রিকেট টেনে নিতে পারেননি বেশিদিন। ২০১১ সালে খেলেন সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি।
