

এশিয়া কাপে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারাল রোহিত শর্মার দল। ব্যাটে-বলে ম্যাচের নায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ম্যাচ শেষে হার্দিকের ভাষ্য, শেষ ওভারে তার সামনে বল করতে হওয়ায় মোহাম্মদ নওয়াজের উপর চাপ বেশি ছিল। বিপরীতে তিনি ছিলেন আত্মবিশ্বাসী।
দুবাইয়ে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১৪৭ রানে শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। শেষ দু’ওভারে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ২১ রান। ১৯তম ওভারে তিনটি চার মারেন হার্দিক। মোহাম্মদ নওয়াজের করা শেষ ওভারের প্রথম বলে বড় শট মারতে গিয়ে আউট হন জাদেজা। তাতে অবশ্য তেমন সমস্যা হয়নি। কারণ, উইকেটে যে আছেন আত্মবিশ্বাসী হার্দিক।
শেষ ৩ বলে দরকার ৬ রান! পরের বলেই বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে হার্দিক মাতলেন উদযাপনে। ৩৩ রানের হার না মানা একটি ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়লেন হার্দিক। যাতে বল খরচ করেছেন কেবল ১৭টি। ব্যাট হাতে হার্দিকের আত্মবিশ্বাসই মূলত সবকিছুকে হারিয়ে দিয়েছে। প্রথমে বল হাতে ২৫ রানে ৩ উইকেট নেন পান্ডিয়া। স্বাভাবিক ভাবেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন হার্দিক।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পান্ডিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হয় শেষ ওভারে তিনি চাপে ছিলেন কিনা? হার্দিকের সহজ উত্তরঃ চাপে ছিলেন বরং নওয়াজ,
‘আমি জানতাম নওয়াজকে তারা বাকি রেখেছে। শেষ ওভারে আমাদের ৭ রান দরকার ছিল। যদি ১৫ রানও প্রয়োজন হতো, তা হলেও আমাদের জয়ের সুযোগ ছিল। আসলে শেষ ওভারে আমার নয়, বরং আমাকে বল করতে হওয়ায় বোলারের উপর চাপ বেশি ছিল। এটা আমার অহংকার নয়, আত্মবিশ্বাস, যেটা কঠিন পরিশ্রম করে অর্জন করতে হয়েছে।’
ম্যাচ শেষে পাক অধিনায়ক বাবর আজম নিজ বোলারদের পক্ষ নিলেও দুর্দান্ত হার্দিকের প্রশংসা করতে ভুল করেননি,
‘আমরা যে ভাবে শুরুতে বল করেছি, তা অসাধারণ। আমরা ১০-১৫ রান কম করেছিলাম। তবে বোলাররা দুর্দান্ত পারফর্ম করে ম্যাচে উত্তেজনা বাড়িয়েছিল। আমরা শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম, যার কারণে নওয়াজের ওভার শেষ পর্যন্ত রাখা হয়েছিল, চাপ তৈরি করার চেষ্টা ছিল, কিন্তু হার্দিক ভালো ভাবে ম্যাচটি শেষ করেছে। নাসিম শাহ একজন তরুণ বোলার এবং ও দারুণ কাজ করেছে।’