

টি-টোয়েন্টিতে কোনোভাবেই যেন ধারাবাহিক হতে পারছে না বাংলাদেশ। হারতে হল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজটিও। শেষ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বলছেন ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই মাঝের ওভারগুলোতে পিছিয়ে পড়ছে টাইগাররা।
সর্বশেষ ১৫ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র দুইটিতে। গত মার্চে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের সাথে জয়ের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত সিরিজে এসেছে একটি জয়। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ খোয়ানো বাংলাদেশ এই প্রথম জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলো।
গতকাল (২ আগস্ট) আগে ব্যাট করা জিম্বাবুয়ে ১৩ ওভারে ৬৭ রান তুলতেই হারায় ৬ উইকেট। সেখান থেকে রায়ান বার্লের ২৮ বলে ঝড়ো ৫৪ ও লুক মঙ্গের ৩৫ রানে ভর করে ৮ উইকেটে ১৫৬ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকতকরা।
বোলিংয়ে শুরুর ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদের ১৫তম ওভারেই আসে ৩৪ রান। লক্ষ্য তাড়ায় নেমেও এলোমেলো টাইগার ব্যাটিং অর্ডার। ম্যাচ হেরেছে ১০ রানে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মোসাদ্দেক জানালেন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যর্থতার কারণ, ‘এখানে যে জিনিসটা হচ্ছে আমরা ম্যাচ থেকে সরে যাচ্ছি মিডল ওভারে। বোলিংয়ের দিকে তাকালে দেখবেন মিডল ওভারে আমরা উইকেট বের করতে পারছি না।’
‘ব্যাটিংয়েও একই, মিডল ওভারে যেভাবে বানানো দরকার সেভাবে হচ্ছে না। এ কারণে আমরা শেষের দিকে চাপে পড়ে যাচ্ছি। আমার মনে হয় এ জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে পারলে আমরা ভালো করতে পারবো।’
দল হিসেবে ধারাবাহিকভাবে ভালো করতে না পারলেও ওপেনিংয়ে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটি বদলাচ্ছে নিয়মিতই কিন্তু ফল একই। থিতু হতে পারছে না কেউই, এক পাশে লড়াইটা শুধু লিটন দাসের। এদিকে ব্যাট হাতে ফিনিশিং কিংবা ডেথ ওভারে নিয়ন্ত্রণ কোনটাই হচ্ছে না পারফেক্ট।
এ নিয়ে মোসাদ্দেকের ভাবনা জানতে চেয়ে প্রশ্ন রাখা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন আপনি যদি ধারাবাহিক না থাকেন তাহলে এটা অবশ্যই একটা চিন্তার কারণ। অবশ্যই আমাদের এই জায়গাগুলোতে ধারাবাহিক হতে হবে যদি আমরা ভালো দল হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে আরও বেশি উন্নতি করতে চাই বা সফল হতে চাই।’
‘আমি মনে করি অবশ্যই দুই-একটা বিভাগ দেখলেই হবে না পুরো দল নিয়েই চিন্তা করতে হবে। দল নিয়ে চিন্তা করলে এ বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’