

নিয়মিতই বল করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, তবে সেটা মূল বোলারের মতো কোটা পূর্ণ করার মত অবশ্যই না। খন্ডকালীন বোলার হয়ে দলে প্রায় সময়ই রাখেন কার্যকরী ভূমিকা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অবশ্য করলেন অসাধারণ কিছু। অফ স্পিনে তুলে নিলেন ৫ উইকেট, ঢুকে পড়লেন বাংলাদেশী বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়াদের সংক্ষিপ্ত তালিকায়। আগে থেকেই এ তালিকায় থাকা সাকিব আল হাসানের পাশে নাম লিখিয়ে নিজেকে ভাগ্যবান বলছেন মোসাদ্দেক।
মোসাদ্দেকের ৫ উইকেট শিকারের দিনে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে ৭ উইকেটে। ফলে ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজটিতে ফিরেছে সমতা। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ১৭ রানে।
আজও টস জিতে আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু সুবিধা করতে পারেনি। ৩১ রানেই হারায় ৫ উইকেট, যার সবকটিই তুলে নেন মোসাদ্দেক। ইনিংসের প্রথম বল থেকে ৭ম ওভার, এই সময়ের মধ্যেই নিজের ৪ ওভারের কোটা শেষ করেন। আর তাতেই ২০ রানে শিকার ৫ উইকেট, চতুর্থ বাংলাদেশী বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এ কীর্তি তার।
তার আগে এই কীর্তি আছে সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও ইলিয়াস সানির। এমন দারুণ কিছু গড়ার পথে সাকিবের সঙ্গী হয়ে মোসাদ্দেক বেশ ভাগ্যবান মনে করছেন নিজেকে।
সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘দেখেন, সাকিব ভাইকে নিয়ে তো সবসময় সবাই এই কথা বলে যে- তাকে নিয়ে অনেক বেশি কথা বলার কিছু নেই। সবাই জানে সে এই খেলার কিংবদন্তি। অবশ্যই তার যে ইকোনমি আর পাঁচ উইকেট আছে, সেটা আমারও আছে, ওই দিক থেকে আমি অনেক ভাগ্যবান।’
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর আগে ১৯ বার বল করেন মোসাদ্দেক। তবে মাত্র একবার ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করেন। নামের পাশে উইকেট ছিল মাত্র ৭ টি। অথচ আজ এক ইনিংসেই নিলেন ৫ উইকেট, এ দিন টানা স্পেলে শেষ করেন ৪ ওভারের কোটা।
বল হাতে নিলে নিজেকে খন্ডকালীন বোলার মনে করেন না উল্লেখ করে এই অলরাউন্ডার যোগ করেন, ‘এই কথাটা অনেক আগেই বলে আসছি, আমি যখন বল করি কখনও ভাবি না অকেশনাল বোলার। সবসময় আমি ওই দায়িত্বটা নেওয়ার চেষ্টা করি বোলিংয়ের সময় যে আমি মূল বোলার হয়ে বল করছি।’
উইকেট যে বোলারদের জন্য খুব সহায়ক ছিল সেটি মানছেন না মোসাদ্দেক, ‘উইকেটটা যদি আপনি খেয়াল করেন, বোলারদের জন্য খুব সাহায্য ছিল, আমি সেটা বলব না। অবশ্যই খুব ভালো উইকেট ছিল। আমার মাথায় একটা জিনিস কাজ করছিল, অধিনায়ক যখন আমাকে বল দিয়েছে, বলেছে রানটা যেন আটকে রাখতে পারি প্রথম থেকে।’
উইকেটের চেয়ে ডট বল দিয়ে রান আটোকানোর লক্ষ্যেই অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান প্রথম ওভারেই বল তুলে দেন মোসাদ্দেকের হাতে। তিনি নিজেও উইকেট নয় ডট বলেই ছিলেন মনযোগী।
তার ভাষায়, ‘আগের দিন দেখেছি এখানে ২০০ রান হয়েছে, ওই জায়গা থেকে আমরা পরিকল্পনা করেছি ১৬০-৭০ এর মধ্যে যদি রাখতে পারি দলের জন্য ভালো। ওই পরিকল্পনাটাই ছিল। অন্য কিছু চেষ্টা করি না।’
‘৫ উইকেটের জন্য বোলিং করিনি আসলে, পরিকল্পনা ছিল ডট বল করার। আমি বলবো যে ভালো জায়গায় বল করেছি সেটার ফল হয়তো আমি পেয়েছি।’