

তারুণ্য নির্ভর দল নিয়ে জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি খেলছে বাংলাদেশ। সিনিয়রদের ছাড়া নতুন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে চেয়েছে দলটি।হারারেতে হার দিয়ে শুরুর পর উন্নতিতে চোখ সোহানের প্রথম ম্যাচে ১৭ রানে হেরে যাত্রাটা অবশ্য শুভ হয়নি এই সিরিজের কাপ্তান নুরুল হাসান সোহানের। তার মতে বোলারদের কিছু ওভার উন্নতি করতে হবে পরের ম্যাচে।
টস জিতে হারারের স্পোর্টস ক্লাবে আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ে। সিকান্দার রাজার ২৬ বলে অপরাজিত ৬৫, ওয়েস্লে মাধেভেরের ৪৬ বলে অপরাজিত ৬৭ রানে ভর করে ৩ উইকেটে ২০৫ রানের পুঁজি স্বাগতিকদের স্কোরবোর্ডে।
যদিও প্রথম ১০ ওভারের পরই লাগাম হারায় বাংলাদেশ বোলাররা। প্রথম ১০ ওভারে ৭৪ রান তোলার জিম্ববাউয়ে পরের ১০ ওভারে তোলে ১৩১ রান, শেষ ৫ ওভারে ৭৭। জবাবে কয়েকটি মাঝারি ইনিংসের সাথে অধিনায়ক সোহানের অপরাজিত ২৬ বলে ৪২ রানের ইনিংসের পরও ৬ উইকেটে ১৮৮ রানে থামে বাংলাদেশ।
১৭ রানে হারা ম্যাচে বোলারদের নিয়ে খানিক হতাশ সোহান। আর সেটি যৌক্তিকও, শেষ ৬ ওভারের প্রতিটিতেই ১০ এর উপরে রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে ব্যাটাররা।
পুরষ্কার বিতরণীতে সোহান বলেন,
‘পরের ম্যাচে আমাদের কিছু ওভারে (বোলিং ইনিংসে) উন্নতি করতে হবে। ১০-১৫ রান কম হলে লক্ষ্যটা ইতিবাচক হতে পারতো আমাদের জন্য। আমরা ভেবেছিলাম তাড়া করতে পারবো। ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ পিচ। আশা করছি পরের ম্যাচে শক্তভাবে ফিরতে পারবো।’
এদিকে ব্যাট হাতে অপরাজিত ৬৫ রানের ইনিংসের পর বল হাতেও এক উইকেট সিকান্দার রাজার। এমন পারফরম্যান্সে হাতে উঠে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার। এই অলরাউন্ডার বলছেন তাদের ধারণা ছিল এই উইকেট ১৭০-৮০ রানই জেতার জন্য যথেষ্ট।
এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য,
‘আমরা ভেবেছিলাম ১৭০-৮০ তেই চলবে। বেশ ভালো একটা শুরুও পেয়েছি। সেটাই সামনে টেনে নিতে চেয়েছি। এটা ২০৬ রানের উইকেট বলে ভাবিনি। মাঝে মাঝে বল নিচু হচ্ছিল।’