

এক মাসে কোন মানুষের জীবন কতটা বদলে যেতে পারে? মানুষটি যদি প্রবাথ জয়সুরিয়া হয় তাহলে বলতে পারেন আকাশ-পাতাল পরিবর্তন হওয়া সম্ভব। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২য় টেস্টে ডাক পাওয়ার আগে স্কোয়াডেই নাম ছিল না যার, সেই প্রবাথ জয়সুরিয়া ৩ টেস্টের পর শ্রীলঙ্কার নায়ক।
প্রথম ৩ টেস্ট খেলে প্রবাথ জয়সুরিয়া গুনে গুনে নিয়েছেন ২৯ উইকেট। গড়টা ২০.৩৮, চারবার ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট!
৪ ফাইফারের সবশেষটা এসেছে গতকাল (২৮ জুলাই) যেখানে শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানকে হারিয়েছে ২৪৬ রানে। এই ম্যাচ শেষে প্রবাথ শুনিয়েছেন তার গল্প।
‘আমার যাত্রাটা সহজ কোন যাত্রা ছিল না। মাতালে থেকে কলম্বো এসে ক্রিকেট খেলাটা খুবই কঠিন ছিল। কারণ সেখানে আমার কোন পরিবার ছিল না, আমি ছিলাম একা। অনেকেই আমাকে সাহায্য করেছে। কোচ দীনেশ বিরাসিংহে আমাকে সাহায্য করেছে।’ নিজের যাত্রার কথা বলতে যেয়ে বলেন প্রবাথ জয়সুরিয়া।
তিনি যোগ করেন, ‘এটা কঠিন ছিল। আমার অর্থনৈতিক সমস্যা ছিল। সবকিছুতে আমার ব্যালান্স করতে হয়েছে। আমি আমার পরিবারকে চাপ দিতে চাইনি। আমার কাছে সুযোগ এসেছিল দেশের বাইরে খেলার তবে আমার ইচ্ছে ছিল দেশের হয়ে খেলা, টেস্ট খেলা। আমি আমার স্বপ্নপূরণের জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করেছি, এখন এসে সাফল্য পেয়েছি।’
পাকিস্তানের ২য় ইনিংসে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের জুটি শ্রীলঙ্কার জয়ের পথে কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই জুটি ভাঙেন প্রবাথ। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবার কোন স্পিনারের বলে বোল্ড হন মোহাম্মদ রিজওয়ান, বোলারের নাম প্রবাথ জয়সুরিয়া।
সেখান থেকেই লঙ্কানদের জয়ের রাস্তা সুগম হয়। প্রবাথের পারফরম্যান্সের পর তার প্রশংসায় মাতেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমও।
তিনি বলেন, ‘জয়সুরিয়াকে ক্রেডিট দিতে হয় যেভাবে সে বল করেছে। সে অসাধারণ ছিল, ধৈর্য্যশীল ছিল। টেস্ট ক্রিকেটে আপনার ধৈর্য লাগবে। সে ধারাবাহিক বোলার, সে একই লেংথে বল করে, এবং করতেই থাকে। সে কোন বাউন্ডারি হজম করলেও ঐ লেংথ থেকে সরে না।’