

বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি এমন দাঁড়িয়েছে যেখানে যেকোনো পর্যায়ে অধিনায়কত্ব করা দারুণ চাপের। জাতীয় দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া টানাটানি এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ‘এ’ দলকে নেতৃত্ব দিতে যাওয়া মোহাম্মদ মিঠুন চাপ হিসেবে নিতে চান না।
সফরে দুইটি চার দিনের ম্যাচের সাথে তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সবকটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন সামি স্টেডিয়ামে। প্রথম চার দিনের ম্যাচ মাঠে গড়াবে ৪ আগস্ট থেকে। আগামীকাল (২৯ জুলাই) দেশ ছাড়বে মিঠুনের নেতৃত্বাধীন দলটি।
আজ (২৮ জুলাই) মিরপুরে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়কত্ব চাপ কীনা জানতে চাওয়া হয় মিঠুনের কাছে। জবাবে তিনি জানান ক্রিকেট খেলাকে চাপ মনে করার কিছু নেই, এটাই তার কাজ। যদিও চ্যালেঞ্জ বলতে সমস্যা দেখেন না।
এই উইকেট রক্ষক ব্যাটার বলেন, ‘এখানে হচ্ছে আমরা ক্রিকেট খেলতে যাচ্ছি, অন্য কোনো কাজে না। এটাতো ছোট বেলা থেকেই এই পেশাকে বেছে নিয়েছি। হয়তো প্রতিপক্ষ অন্য রকম, চিনি না বা নতুন কোনো কিছু মোকাবেলা করতে হবে। আপনি যদি বলেন চ্যালেঞ্জ, তো আমি আপনার সাথে একমত যে অবশ্যই এটা একটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আমি মনে করি না চাপ।’
‘এ’ দলকে বলা হয় জাতীয় দলে বাদ পড়াদের ফেরার মঞ্চ। যে কারণে ক্রিকেটারদের দিক থেকে মানসিকভাবে কিছুটা হলেও চাপ থাকার কথা। মিঠুন অবশ্য এর সাথে একমত নন। এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে জাতীয় দলে খেলেছেন এমন ক্রিকেটারের সাথে রাখা হয়েছে যুব দল, হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের ক্রিকেটারদেরও। ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের চেয়ে দল হিসেবে সেরাটা দেওয়াতেই মনযোগ তার।
মিঠুনের ভাষায়, ‘আমাদের ভাবনাটা খুবই পরিষ্কার যে আমরা ‘এ’ দলের হয়ে খেলতে যাচ্ছি। এখানে জাতীয় দলের কোনো বিষয় নাই। ‘এ’ দলে কেউ ভালো করলে তাদের প্রয়োজন হলে পরে হয়তো বা তাদের অন্তর্ভূক্ত করা হবে। সেটা ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমরা খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছি। এখানে কিন্তু শুধু জাতীয় দল থেকে খেলোয়াড় আসছে তা না। এখানে এইচপিরও অনেক খেলোয়াড় আছে। আমরা সবকিছু বাদ দিয়ে ‘এ’ দলকে নজরে রাখছি যে কীভাবে ‘এ’ দলের হয়ে সেরা পারফরম্যান্সটা দিতে পারি।’