

বেশ ঢাক ঢোল পিটিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বাংলাদেশ টাইগার্স প্রোগ্রাম। বাদ পড়া ও চোটাক্রান্ত ক্রিকেটারদের প্রস্তুত করাই ছিল যার লক্ষ্য। একই সাথে স্থানীয় কোচদেরও গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিসিবি কর্তারা।
তবে সময়ের বিবর্তনে বাংলাদেশ টাইগার্স কার্যক্রমেই এসেছে ঢিলেঢালা ভাব। প্রথম ক্যাম্পের পর থেকেই কমে আসে কোচদের সংখ্যা। কোচদের পারিশ্রমিক নিয়েও আছে অসন্তুষ্টি। যথা সময়ে পারিশ্রমিক পেলেও তাদের জন্য নির্ধারিত পরিমাণ পর্যাপ্ত নয় বলছেন কেউ কেউ।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারী থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে চলে প্রথম ক্যাম্প। স্কোয়াড ছিল ২৩ জনের। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে ৯ জন কোচের নাম ঘোষণা করে বিসিবি।
তারা হলেন মিজানুর রহমান বাবুল (প্রধান কোচ), আফতাব আহমেদ, আশিক মজুমদার (ব্যাটিং কোচ), চম্পাকা রামানেয়ক (বোলিং কোচ), তালহা জুবায়ের, নাজমুল হোসেন (পেস বোলিং কোচ), সোহেল ইসলাম (স্পিন কোচ), কুকি প্যাটেল, ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স (ফিল্ডিং কোচ)।
তবে বাংলাদেশ টাইগার্সের পরের দুই ক্যাম্পেই ভিন্ন চিত্র। কোচিং প্যানেল হয়ে আসে ছোট। প্রধান কোচ মিজানুর রহমান বাবুলের সাথে সোহেল ইসলাম, তালহা জুবায়েরকেই দেখা যাচ্ছে।
আফতাব, নাজমুল, ডিকেন্সরা নেই ক্যাম্পে। ডিকেন্স অবশ্য বয়সভিত্তিকে কাজ করছেন। তবে আফতাব, নাজমুলরা আড়ালে। এমনকি বিদেশি কুকি প্যাটেল প্রথম ক্যাম্পের পর আর আসেননি।
চলমান তৃতীয় ক্যাম্পে কেন নেই আফতাব সেটা জানেন না তিনি নিজেও।
‘ক্রিকেট৯৭’ কে সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘বাংলাদেশ টাইগার্সের এটা তৃতীয় ক্যাম্প হচ্ছে। প্রথমটায় আমরা ছিলাম, দ্বিতীয় ক্যাম্পের সময় আমি আসলে আমেরিকার ভিসা নিয়ে একটু ব্যস্ত ছিলাম। সবকিছু ঠিক করতে গিয়ে আর কাজ করা হয়নি। আমার নিজের ব্যস্ততায় দ্বিতীয় ক্যাম্পে কাজ করতে পারিনি।’
‘তবে এখন যেটা চলছে এটায় কেন নাই বা আমাদের কেন ডাকা হয়নি আমি জানিনা। এই ক্যাম্পে কাজ করার মতো সময় থাকলেও এবার আমাদের কেন ডাকা হয়নি আমি জানিনা।’
বিসিবির গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ টাইগার্স প্রোগ্রামের জন্য বাজেট ছিল ৪ কোটি টাকা। তবে পারিশ্রমিক নিয়ে অসন্তুষ্টি আছে আফতাবের। তার দাবি দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে যে পারিশ্রমিক তারা পেয়েছেন তা যথেষ্ট ছিল না কোনোভাবে। এমন হলে কোচরা আগ্রহ হারাবে বলেও মত তার।
তিনি বলেন, ‘প্রথম ক্যাম্পের পারিশ্রমিক ঠিক সময়েই দিয়েছে। কিন্তু আসলে এই পারিশ্রমিকে হয় না। বিদেশিদের সাথে বেশ পার্থক্য দেশি কোচদের পারিশ্রমিকে। এটা না বাড়ালে কোচরা আগ্রহ হারাবে। দেশের বর্তমান অবস্থা তো বলার প্রয়োজন নেই, সবমিলিয়ে খরচ বেড়েছে অনেক।’