

জিম্বাবুয়ে সফরের বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে আলোচনা কম হচ্ছে না। সিনিয়রদের বিশ্রাম দিয়ে তারুণ্য নির্ভর দল। তবে এটাকে বাস্তবতা হিসেবেই মানেন পেসার তাসকিন আহমেদ। নিজেরা সর্বোচ্চটা দিয়ে দেশের জন্য ভালো কিছুর চেষ্টা করবেন বলেও জানিয়ে গেলেন।
সফরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে দুই ধাপে জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে দেশ ছাড়ে টি-টোয়েন্টি দল। গতকাল (২৬ জুলাই) দ্বিতীয় বহরে উড়াল দেওয়া তাসকিন কথা বলে সংবাদ মাধ্যমের সাথে।
এবারের সফরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সরিয়ে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক করা হয়েছে নুরুল হাসান সোহানকে। রিয়াদের সাথে বিশ্রামে মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান আছেন ছুটিতে। এদিকে আগেই এই ফরম্যাট থেকে অবসরে তামিম ইকবাল।
সিনিয়রদের ছাড়া খেলা প্রসঙ্গে তাসকিন বলেন, ‘সিনিয়ররা তো বাংলাদেশের জন্য সবসময় করেন। তাদের যে অবদান ছিল সেটা আর আমাদের বলতে হবে না, সবাই জানেন। এখন আসলে এটাই, একটা সময় সবাইকে যেতে হবে।’
‘একটা সময় আমরাও চলে যাবো, আরেক গ্রুপ আসবে। তো এটাই বাস্তবতা। এখন যেহেতু আমরা আছি, সবাই মিলে চেষ্টা করবো দেশকে ভালো কিছু দেওয়ার।’
এই সফরের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সোহানকে নিয়ে তাসকিন জানান, ‘(সোহান) আশা করি অবশ্যই ভালো করবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে তো সবসময় ভালো করে। যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আলাদা। তবে আশাবাদী সেও ভালো করবে।’
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের অবস্থা বড়ই নাজুক। জিম্বাবুয়ে সফরে তরুণদের নিয়ে দল গড়ার মূল উদ্দেশ্যও ছিল ভিন্ন কিছু চেষ্টা করে দেখা। যে কারণে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ সামনে রেখে জিম্বাবুয়ে সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
দল নিয়ে তাসকিন জানিয়েছেন তার ভাবনা, ‘আসলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিটি সিরিজই চ্যালেঞ্জিং। সামনেও দুইটি বড় টুর্নামেন্টের খেলা রয়েছে, এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আগাগোড়াই আমরা আপ টু দ্য মার্ক পারফর্ম করি না।’
‘তাও যদি সেরাটা খেলতে পারি, ভালো কিছু হওয়া সম্ভব। আসলে প্রত্যেক সিরিজ বা প্রত্যেক ম্যাচ থেকেই অনেক কিছু শেখার চেষ্টা করছি। বলা যায়, টি-টোয়েন্টির এই দলে ৯০ ভাগই তরুণ। অবশ্যই ভালো কিছু হবে ইন শা আল্লাহ।’