

আইসিসির বোর্ড সভায় চূড়ান্ত হয়েছে ২০২৪-২০২৭ সাল সময়কালে চারটি নারী ইভেন্টের আয়োজক দেশ। ২০২৪ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে বাংলাদেশ।
আজ (২৬ জুলাই) ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু অনুমোদন পায়। যার একটি পরবর্তী চার নারী ইভেন্টের সম্ভাব্য সময় ও আয়োজক দেশ চূড়ান্ত করা।
২০২৪ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ, ২০২৬ ইংল্যান্ড, ২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ভারত ও ২০২৭ সালে নারী টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করবে শ্রীলঙ্কা। তবে এ ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কাকে বাছাই পর্ব উতরে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
View this post on Instagram
২০১৪ সালে পুরুষদের সাথে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ।
ক্লেয়ার কনর, সৌরভ গাঙ্গুলী ও রিকি স্কেরিট সহ মার্টিন স্নেডেনের তত্বাবধানে একটি উপ কমিটি বিডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আয়োজক দেশ নির্বাচন করে।
আইসিসি সভাপতি গ্রেগ বার্কলে বলেন, ‘আমরা নারীদের সাদা বলের ইভেন্টের জন্য বাংলাদেশ, ভারত, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কাকে আয়োজক করতে পেরে আনন্দিত। মহিলাদের খেলাধুলাকে ত্বরান্বিত করা আইসিসির কৌশলগত অগ্রাধিকারগুলোর একটি। ইভেন্টগুলোকে আমাদের খেলাধুলার সবচেয়ে বড় বাজারে নিয়ে যাওয়া খেলাটির কোটি ভক্তের সাথে সংযোগ আরও গভীর করার সুযোগ করে দেয়।’
বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘২০২৪ নারী বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হতে পারা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য দারুণ সংবাদ। বিসিবির পক্ষ থেকে আইসিসিকে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আআমদের এমন সময় ইভেন্টটি উপহার দেওয়া হচ্ছে যখন নারী ক্রিকেটের বেশ বিকাশ ও প্রসার ঘটছে।’
‘বিশেষ করে এটি বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেটের জন্য ইতিবাচক বার্তা দিবে, ছোট ছোট মেয়েদের ও নারী ক্রিকেটারদের বড় স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত করবে। আমাদের মহিলা ক্রিকেট ধীরে ধীরে উন্নতি করছে আর এই ইভেন্টটি বড় দলের সাথে আমরা লড়তে পারি সেটা দেখানোর দারুণ এক মঞ্চ। বড় বড় আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করার সুনাম আছে বাংলাদেশের, আমি আশা করছি ২০২৪ সালেও আমরা ভালো একটা টুর্নামেন্ট উপহার দিতে পারবো।’
আজকের সভায় ২০২৩-২০২৭ সাল সময়কালের এফটিপি (ফিউচার ট্যুর প্ল্যান) চূড়ান্ত করে আইসিসি। ২০২৩ ও ২০২৫ সালে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের ভেন্যু হিসেবে লর্ডসের নাম চূড়ান্ত হয় এ দিন।
এদিকে আইসিসির পরবর্তী চেয়ারম্যান নির্বাচনের সময়ও নিশ্চিত হয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বরে নির্বাচিত হবেন পরবর্তী আইসিসি চেয়ারম্যান। এর বাইরেও কিছু ইস্যু অনুমোদন পেয়েছে বোর্ড সভায়।