

জিম্বাবুয়ে সফরে সিনিয়র ক্রিকেটার ছাড়াই টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বিশ্রাম দিয়ে এই বহরের অধিনায়ক করা হয়েছে নুরুল হাসান সোহানকে। অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান জানান নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে আছেন অবগত। লম্বা সময় ধরে দেশের সেবা দেওয়া সিনিয়রদের বাবা-মা সমতুল্য বলেও উল্লেখ করেন।
অধিনায়ক রিয়াদের সাথে এই সফরে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয় মুশফিকুর রহিককেও। তামিম ইকবাল কিছুদিন আগেই বিদায় বলেন এই ফরম্যাটকে। সাকিব আল হাসান ছুটি নিয়েছেন পুরো জিম্বাবুয়ে সফর থেকেই।
সাকিব, মুশফিক, রিয়াদদের ছাড়া খেলাকে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী। আজ (২৬ জুলাই) মধ্যরাতে দ্বিতীয় ধাপে দেশ ছাড়বে মেহেদী সহ টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের বেশিরভাগ ক্রিকেটার।
তার আগে দুপুরে মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেন মেহেদী।
সেখানেই সিনিয়রদের ছাড়া খেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
‘একটা সময় তো সিনিয়ররাও থাকবেন না। আমাদের মধ্য থেকে অনেকেই সিনিয়র হয়ে যাবেন। সাকিব ভাই, রিয়াদ ভাইরাও জুনিয়র হয়ে জাতীয় দলে এসেছিলেন। ২০১১ বিশ্বকাপে সাকিব ভাই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তখন ওনার বয়স ছিল ২২। খেলতে খেলতে ওনারা এ পর্যায়ে এসেছেন। এখন যে তরুণ দলটা আছে, সময় লাগবে। নেতৃত্ব ধীরে ধীরে গুছিয়ে নিতে পারবে।’
সিনিয়রদের অনপুস্থিতিতে নিজের সুযোগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে যোগ করেন,
‘অবশ্যই ভালো সুযোগ। আপনি পরিবারে যখন ছোট থাকেন, তখন আপনাকে বড় করতে বাবা মা সব দায়িত্ব নেন। যখন প্রতিষ্ঠিত হয়ে যান, তখন নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেন।’
‘সেক্ষেত্রে এ সিরিজ থেকে বলতে পারব, আমাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেদের নিতে হবে। যেহেতু সাকিব ভাই, রিয়াদ ভাই, তামিম ভাই, মুশফিক ভাই নেই। তারা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটের মা বাবাই ছিলেন।’
সাকিব, রিয়াদ, মুশফিকরা না থাকলেও দলের বাকিদের অনভিজ্ঞ বলছেন না মেহেদী। তার মতে দুই-একজন ছাড়া অন্যরা আন্তর্জাতিক আঙিনায় কাটিয়ে ফেলেছে ভালো সময়ই।
২৭ বছর বয়সী শেখ মেহেদীর ভাষায়,
‘এ জায়গায় একদমই কেউ নতুন না। সবাই তিন-চার কিংবা পাঁচ বছর ইতিমধ্যে জাতীয় দলে খেলছে। এখানে অনেকেই ৭-৮ বছর খেলেছেন। সুতরাং বেশিরভাগই অভিজ্ঞ। তরুণ দু একজন আছেন। আমরা বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। সবার বোঝার ক্ষমতা আছে।’