

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সরিয়ে জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক করা হয়েছে নুরুল হাসান সোহানকে। ৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে থিতু হতে না পারা সোহানকে বেছে নেওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছে বোর্ড। মূলত তার একাগ্রতা ও মাঠে চনমনে মানসিকতাই এগিয়ে দিয়েছে।
২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি অভিষেকের পরএখনো পর্যন্ত ৩৩ ম্যাচ খেলে সোহান করেছেন ২৭১ রান। ব্যাটিং অর্ডারে নিচের দিকে নামেন বলে তার ১২.৯০ গড়কে খুব নেতিবাচক দেখারও উপায় নেই। যদিও ১১১.৯৮ স্ট্রাইকরেট হয়তো কিছুটা হলেও তা বিপক্ষেই কথা বলে।
তবে ক্যারিয়ারের শুরুতে যতটা অপরিণত ছিলেন তা কাটিয়ে উঠেছেন সাম্প্রতিক সময়ে৷ বিশেষ করে ব্যাট হাতে খুব আহামরি কিছু না করলেও নিজের আক্রমনাত্মক মানসিকতা দিয়ে ঠিকই নজর কেড়েছেন।
উইকেটের পেছনে সবসময় চঞ্চল সোহানকে দেশের এক নম্বর উইকেট রক্ষকও বলে অনেকে। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ছোট ছোট কয়েকটি ইনিংসে রেখেছেন উন্নতির ছাপ।
তাকে জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক করার পেছনে কাজ করেছে এসব দিকও। আজ (২২ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত জানায় টিম ম্যানেজমেন্ট।
যেখানে আলোচনায় ছিলেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস, টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। সাথে তিন নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, হাবিবুল বাশার সুমন ও আব্দুর রাজ্জাক।
সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে ২৮ বছর বয়সী সোহানকে অধিনায়ক করার পেছনে যুক্তি দিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন ও জালাল ইউনুস।
সুজন বলেন, ‘যেহেতু সাকিবও নাই, রিয়াদ নাই, মুশফিকও নাই সেহেতু সেই (সোহান) বোধহয় সবচেয়ে সিনিয়র। যার নেতৃত্ব দেওয়ার সামর্থ্য আছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো নেতৃত্ব দিচ্ছে, আমরা চোখেও দেখি মাঠে কীভাবে অনুপ্রাণিত করা থেকে সহযোগিতা করে। এজন্য সোহান..আমাদের মাথায় হয়তো আরও দুই-তিনটা নাম ছিল।’
জালাল ইউনুসের কণ্ঠেও একই সুর, ‘সোহান ঘরোয়া ক্রিকেটে নেতৃত্বে দিয়েছে। ওর মধ্যে নেতৃত্বের গুণ দেখেছি। নেতৃত্বে দেওয়াটা কোনো একজনের সিদ্ধান্ত না এটা বোর্ডের। আমরা সবাই অোলাপ আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সোহানকে নেতৃত্ব দিয়েছি।’
‘আমরা মনে করছি যে তার নেতৃত্বগুণ আছে, অ্যাগ্রেসিভ, মোটিভেট করতে পারে, স্পিরিটেড এ ব্যাপারে আমরা নির্বাচকরাসহ সবাই একমত হয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’