

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পরই অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ইতি ঘটতে পারে গুঞ্জন ছিল। অবশেষে সেটাই করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। রিয়াদের সাথে আজ (২২ জুলাই) বৈঠক শেষেই এমন সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড।
শুধু অধিনায়কত্ব নয়, রিয়াদ বাদ পড়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ থেকেই। তার সাথে একই পরিণতি মুশফিকুর রহিমেরও।
উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য নেতৃত্ব পেলেও তা স্থায়ী নয়। বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ দিয়ে স্থায়ী অধিনায়ক চূড়ান্ত করবে বিসিবি। সে ক্ষেত্রে সাকিবের সম্ভাবনাই বেশি।
রিয়াদের সাথে আজ বিকেলে রাজধানীর হোটেল সিক্স সিজনে আলাপে বসেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস, টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তাদের সাথে ছিলেন তিন নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, হাবিবুল বাশার সুমন ও আব্দুর রাজ্জাক।
সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমকে জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা আজকে রিয়াদকে ডেকেছিলাম। তার সাথে আলাপ আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এবার আমরা একটা নতুন দল পাঠাতে চাচ্ছি জিম্বাবুয়েতে। এর মধ্যে কিছু সিনিয়র ক্রিকেটারও থাকছে না। কিছু প্লেয়ারকে দেখার জন্য পাঠানো হচ্ছে। এই দলটা নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমরা নুরুল হাসান সোহানকে অধিনায়কত্ব দিচ্ছি।’
‘সেটা আমরা আজ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে জানিয়ে দিয়েছি। এখানে আরও কিছু প্লেয়ার নেই। মুশফিককেও জানানো হয়েছে। সাকিবও জানে, মুশফিক জানে। তাদের বলা হয়েছে এ জায়গায় আমরা নতুন কিছু প্লেয়ারকে চেষ্টা করতেছি। এটা শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য।’
২০১৯ সালে জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করে নিষিদ্ধ হন সাকিব। এরপরই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব পান রিয়াদ। এর আগে অবশ্য সাকিবের অনুপুস্থিতিতে পাঁচটি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন তিনি। এখন অবধি ৪৩ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে দলকে ১৬টিতে জয় এনে দিয়েছেন রিয়াদ।
বাংলাদেশ সর্বশেষ ১৩ ম্যাচের মাত্র একটিতে জিতেছে রিয়াদের নেতৃত্বে। এই সময়ে ব্যাট হাতে তার ৩০ পেরোনো ইনিংস কেবল একটি, দুইবার পেরোতে পেরেছেন ২০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ৩ ম্যাচে করতে পেরেছেন ৪১ রানের বেশি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড-
মুনিম শাহরিয়ার, এনামুল হক বিজয়, লিটন কুমার দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুব, কাজী নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, পারভেজ হোসেন ইমন।