

গল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান। এই মাঠে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করে জেতা দল এখন বাবর আজমের পাকিস্তান। এই জয়ে বাবরের সেনাপতি হয়ে কাজ সেরেছেন ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক।
গলের বিরুদ্ধ কন্ডিশনে চতুর্থ ইনিংসে আব্দুল্লাহ শফিক ব্যাট করেছেন ৫২৪ মিনিট (চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জেতা ম্যাচে যা সর্বোচ্চ)। টেস্টে ৪র্থ ইনিংসে ৪০০ এর বেশি বল খেলা ৫ম ব্যাটার আব্দুল্লাহ শফিক (৪০৮)। এর আগে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন মাইক অ্যাথারটন, হার্বার্ট স্যাটক্লিফ, সুনীল গাভাস্কার ও বাবর আজম।
৪০৮ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে ১৬০ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে দারুণ এক জয় এনে দেন মাত্র ৬ টেস্ট খেলা শফিক।
যদিও এই জয়ে বড় অবদান পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমেরও। প্রথম ইনিংসে ১১২ তে ৮ উইকেট পড়ে যাবার পরেও তার ১১৯ রানে ভর করে শ্রীলঙ্কার রানের কাছাকাছি যায় পাকিস্তান। ২য় ইনিংসেও ৫৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছেন প্রভাত জয়সুরিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
শ্রীলঙ্কার ১ম ইনিংসঃ ২২২/১০ (৬৫.১), ওশাদা ৩৫, করুণারত্নে ১, কুশল ২১, ম্যাথুজ ০, চান্দিমাল ৭৬, ধনঞ্জয়া ১৪, ডিকওয়েলা ৪, রমেশ ১১, প্রভাত ৩, থিকশানা ৩৮, রাজিথা ১২*; শাহীন আফ্রিদি ১৪.১-৩-৫৮-৪, হাসান ১২-২-২৩-২, নাসিম ১৩-০-৫৩-১, ইয়াসির ২১-৪-৬৬-২, নওয়াজ ৬-২-১৮-১
পাকিস্তানের ১ম ইনিংসঃ ২১৮/১০ (৯০.৫), শফিক ১৩, ইমাম ২, আজহার ৩, বাবর ১১৯, রিজওয়ান ১৯, সালমান ৫, নওয়াজ ৫, শাহীন আফ্রিদি ০, ইয়াসির ১৮, হাসান ১৭, নাসিম ৫* ; রাজিথা ১১-২-৪২-১, থিকশানা ২৫.৫-৬-৬৮-২, প্রভাত ৩৯-১০-৮২-৫, রমেশ ১৩-২-১৮-২
শ্রীলঙ্কার ২য় ইনিংসঃ ৩৩৭/১০ (১০০), ওশাদা ৬৪, করুণারত্নে ১৬, রাজিথা ৭, কুশল ৭৬, ম্যাথুজ ৯, চান্দিমাল ৮৬*, ধনঞ্জয়া ২০, ডিকওয়েলা ১২, রমেশ ২২, থিকশানা ১১, প্রবাথ ৪*; নওয়াজ ২৮-২-৮৮-৫, ইয়াসির ২৯-২-১২২-৩, হাসান ১২-৩-১৯-১,নাসিম ৭-০-২৪-১
পাকিস্তানের ২য় ইনিংসঃ ৩৪৪/৬ (১২৭.২), শফিক ১৬০*, ইমাম ৩৫, আজহার ৬, বাবর ৫৫, রিজওয়ান ৪০, সালমান ১২, হাসান ৫, নওয়াজ ১৯*; প্রভাত ৫৬.২-১০-১৩৫-৪, রমেশ ৩৩-০-১০২-১, ধনঞ্জয়া ১৫-১-৩৩-১
ফলাফলঃ পাকিস্তান ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরাঃ আব্দুল্লাহ শফিক (পাকিস্তান)।