

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট মানেই যেন অনিয়ম। নির্দিষ্ট কিছু দল বিশেষ সুবিধা পায় বলে অভিযোগ ওঠে বরাবরই। আলাদা করে বলা যায় ভোটের অধিকার নিশ্চিতে কাউন্সিলরশিপ পাওয়া। আর এ জন্য ক্নাবগুলোকে পয়েন্ট টেবিলের উপরের দিকে থাকতে হয়।
এবার বিসিবির এজিএমে (বার্ষিক সাধারণ সভা) বিষয়টি স্বচ্ছ ও সমাধান করতে ভোটাধিকার করা হয়েছে সমান। ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) ৪ স্তরে অংশ নেওয়া সবগুলো ক্লাবকে সমান ১টি করে কাউন্সিলরশিপ দেওয়ার যে পরিকল্পনা ছিল বোর্ডের, তা পাশ হয়েছে।
নতুন নিয়মে ঢাকা লিগ ছাড়াও প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের সবগুলো ক্লাবকে ভোটের অধিকার দেয়া হচ্ছে।
গঠনতন্ত্র অনুসারে প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেওয়া ১২ দলের মধ্যে সুপার সিক্সে খেলা ৬টি দল ২টি করে কাউন্সিলরশিপ পেত, বাকিরা ১টি করে।
প্রথম বিভাগে অংশ নেওয়া ১২ দলটি ১টি করে কাউন্সিরশিপ পেত। তবে দ্বিতীয় বিভাগে প্রথম ১২ ক্লাব আর তৃতীয় বিভাগে কাউন্সিলরশিপ ছিল প্রথম ৮টি ক্লাবের।
কিন্তু এখন থেকে সম বন্টন হবে ভোটাধিকার। অর্থাৎ এই ৪ লিগে অংশ নিলেই মিলবে কাউন্সিলরশিপ। এই কাউন্সিলররাই নির্বাচনে ভোট দিয়ে পরিচালক নির্বাচিত করেন।
এজিএম শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘প্রিমিয়ার লিগে কারও কারও কাউন্সিলরশিপ ছিল না। আবার কারও একাধিক ছিল। প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগের ক্লাবগুলোর যেমন দুটি করে ছিল। আজ এজিএমে পাশ করা হয়েছে, আমরা প্রত্যেকটা ক্লাবকে সমান সংখ্যক কাউন্সিলরশিপ দেবো।’
সংশোধিত নিয়মানুসারে প্রিমিয়ার লিগে ১৮টির মধ্যে ৬টি কমলেও প্রথম ও তৃতীয় বিভাগে সমান ২০ এবং দ্বিতীয় বিভাগে কাউন্সিলর হবে ২৪টি।
সেক্ষেত্রে আগে যেখানে সাকুল্য ৫৮ জন কাউন্সিলর বা ভোটার ছিল ক্লাবগুলোতে, সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৭৬টি।