

রিশাব পান্টের ১ম সেঞ্চুরি ও হার্দিক পান্ডিয়ার অতিমানবীয় অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজও জয়লাভ করেছে ভারত। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে ৩য় ও শেষ ওয়ানডেতে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে তারা। ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত হয় রোহিত শর্মার দলের।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং পায় ইংলিশরা। জাসপ্রীত বুমরাহর পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ সিরাজ ও হার্দিক পান্ডিয়ার নিয়ন্ত্রিত পেস বোলিংয়ে ৭৪ রানে উপরের সারির ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় ইংল্যান্ড।
অধিনায়ক জস বাটলারের হাফ সেঞ্চুরি ও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের কৃতিত্বে ২৫৯ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস। বাটলার সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন। ওপেনার জেসন রয় ৪১, মইন আলি ৩৪ এবং ক্রেইগ ওভারটন ৩২ রান করেন।
৭ ওভারে ৩ মেডেন দিয়ে ২৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন হার্দিক। ওয়ানডেতে এটাই তার সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। যুজবেন্দ্র চাহাল ৩টি ও সিরাজ ২টি উইকেট পান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারতও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। সেখান থেকে রিশাব পান্ট অসাধারণ এক ইনিংস উপহার দেন। যোগ্য সহায়তা দিয়ে বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও মুন্সিয়ানা দেখান হার্দিক।
৫ম উইকেটে হার্দিকের সাথে ১৩৩ রানের ম্যাচ জয়ী জুটি গড়েন পান্ট। ৫৫ বলে ১০ চারে ৭১ রান করে আউট হন হার্দিক। বাকি সময়টা রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে নির্বিঘ্নে ৪৭ বল হাতে রেখে দলকে জয় এনে দেন পান্ট। ১১৩ বলে ১৬ চার ও ২ ছয়ে ১২৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
ইংলিশদের পক্ষে ৩ উইকেট পান আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডেতে সেরা বোলিং পারফরম্যান্স করা পেসার রিস টপলি।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান রিশাব পান্ট। সিরিজ সেরা হয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ইংল্যান্ডঃ ২৫৯/১০ (৪৫.৫), রয় ৪১, বেয়ারস্টো ০, রুট ০, স্টোকস ২৭, বাটলার ৬০, মইন ৩৪, লিভিংস্টোন ২৭, উইলি ১৮, ওভারটন ৩২, কার্স ৩*, টপলি ০; সিরাজ ৯-১-৬৬-২, হার্দিক ৭-৩-২৪-৪, চাহাল ৯.৫-০-৬০-৩, জাদেজা ৪-০-২১-১
ভারতঃ ২৬১/৫ (৪২.১), রোহিত ১৭, ধাওয়ান ১, কোহলি ১৭, পান্ট ১২৫*, সুরিয়া ১৬, হার্দিক ৭১, জাদেজা ৭*; টপলি ৭-১-৩৫-৩, কার্স ৮-০-৪৫-১, ওভারটন ৮-০-৫৪-১
ফলাফলঃ ভারত ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরাঃ রিশাব পান্ট (ভারত)
সিরিজ সেরাঃ হার্দিক পান্ডিয়া (ভারত)।