

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অধীনে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে আছে। ব্যাট হাতেও চরম বাজে সময় কাটাচ্ছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। দুইয়ে মিলে দুয়ারে কড়া নাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অধিনায়কত্ব বদলের গুঞ্জন চারদিকে। তবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানালেন এখনই সে পথে হাঁটতে রাজি নন তারা।
দল হিসেবে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল সব বিভাগেই খারাপ করছে। ফলে বোর্ড বিশ্বাস করে না যে শুধু অধিনায়ক বদলেই বদলে যাবে দলের পারফরম্যান্স। যদিও এমনিতে নিজেদের নাজুক এই ফরম্যাট নিয়ে মাথা ব্যথা কম নয় বিসিবির। নানাভাবে চেষ্টাও চলছে পথ খুঁজে বের করার।
রিয়াদের অধীনে সর্বশেষ ১৩ ম্যাচ জয় মাত্র একটিতে। সবমিলিয়ে ৪৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জেতাতে পারেননি ১৬ ম্যাচের বেশি। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর ব্যাট হাতেও পারফরম্যান্সে অনুজ্জ্বল রিয়াদ। ক্যারিয়ার গড় যেখানে ২৩.৪৮ সেখানে অধিনায়কত্ব করেছেন এমন সময়ে গড় নেমে এসেছে ২৩ এ।
সর্বশেষ ১৩ ম্যাচে তার ৩০ পেরোনো ইনিংস কেবল একটি, ২০ পেরোনো ইনিংসও সাকূল্যে দুইটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ৩ ম্যাচে করতে পেরেছেন ৪১ রান।
অক্টোবর-নভেম্বরে মাঠে গড়াবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগেই রিয়াদকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর জোর গুঞ্জন উঠে। সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে এশিয়া কাপ দিয়েই নেতৃত্ব যাচ্ছে সাকিব আল হাসানের কাঁধে।
তবে আজ (১৭ জুলাই) বিসিবির বোর্ড সভা শেষে পাপন বলছেন এই ইস্যুতে আলাপই হয়নি।
বিকেলে মিরপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের মাঝে কোনো আলাপ আলোচনা এই বোর্ড সভায় হয়নি। আসলে আজকে বোর্ড সভাটা ডাকাই হয়েছে স্টেডিয়ামের জন্য। বিপিএল নিয়ে আলাপটা পরে হয়েছে। কিন্তু অধিনায়কত্ব নিয়ে কোনো আলাপ হয়নি।’
‘এটা বলা মুশকিল। এটার উত্তর এই মুহূর্তে দেওয়া কঠিন। সময় খুব কম। আসলে এই সিদ্ধান্তটা নেওয়া খুব কঠিন।’
এখনই কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে দেশে ফেরার পর বর্তমান অধিনায়ক রিয়াদের সাথে বসবে বিসিবি সভাপতি। সে ক্ষেত্রে ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলেও অন্তত এই মাস চলে যাবে বলে জানান।
এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা আজকে বলা কঠিন। আমার ধারণ এ সিদ্ধান্তটা নিতে আমাদের অন্তত এই মাস চলে যাবে। আমরা আসলে বসতে হবে। অধিনায়ক ও কোচের সাথে বসে আলাপ তো করতে হবে। ওরা কি বলে। ওদের কথাতো জানতে হবে, কি হয়েছে।’
‘টি-টোয়েন্টিতে হঠাত করে কিছু একটা পরিবর্তন করলেই যে আহামরি ফল আসবে এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই। এটাও আমাদের লম্বা সময়ের জন্য চিন্তা করতে হবে। হুট করে বলা মুশকিল। তবে যাই করি না কেন অবশ্যই আলাপ করে করতে হবে।’
অধিনায়কত্ব বদল করলেই যে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুত সাফল্য আসবে এমনটা বিশ্বাস করেন না বিসিবি সভাপতি। তার মতে রিয়াদ পারফর্ম করছে না বলেই এতো কথা হচ্ছে। সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের মতো তার অধিনায়কত্ব নিয়েও অসন্তুষ্ট নয় বিসিবি।
তিনি জানান, ‘অধিনায়কত্ব পরিবর্তন করলেই যে আহামরি কিছু হয়ে যাবে এরকম বিশ্বাস আমাদের মাঝে এখনো আসেনি। এই দল নিয়ে আরকি, আমাদের বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলে।’
‘মুমিনুলের অধিনায়কত্ব নিয়েও আমাদের কখনো অসন্তুষ্টি ছিল না। ও রান পাচ্ছিল না সে কারণে বদলটা এসেছে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে এতো কথা হচ্ছে, ওর নামটা আসছে কারণ ও নিজে রান পাচ্ছে না। ও আসলে কথা বলবো। আমি মনে করে ও রান পেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।’