

গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ওয়ানডে ফরম্যাটে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েই যাচ্ছে বাংলাদেশ। ৩য় ও শেষ ওয়ানডেতে স্বাগতিকরা রান আগের দুই ম্যাচের তুলনায় বেশি করলেও লাগাম আছে তামিম ইকবালের দলের হাতেই।
প্রথম দুই ম্যাচের ন্যায় এই ম্যাচেও টস জিতে ফিল্ডিং নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আগের ম্যাচ থেকে একাদশে আনেন বদল। শরিফুল ইসলামকে বসিয়ে সুযোগ দেন স্পিনার তাইজুল ইসলামকে। বেঞ্চে বসা ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়া বলতে এটুকুই!
নিজের করা প্রথম (ইনিংসের ১৩ তম) ডেলিভারিতেই দলকে অবশ্য সাফল্য এনে দেন তাইজুল ইসলাম। ব্রেন্ডন কিংকে (৮) বোল্ড করে ফেরান তিনি। অপর ওপেনার শাই হোপকে ফেরান ইনিংসের ৫ম ওভারে। ওয়ানডেতে উইন্ডিজদের ভরসার নাম হোপকে (২) স্টাম্পড করে ফেরান তাইজুল।
দলকে আরও বিপদে ফেলে পরবর্তী ওভারেই ফিরে যান শামার ব্রুকস। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন তিনি। ১৬ রানেই স্বাগতিকদের নেই ৩ উইকেট।
সেখান থেকে ৬৭ রানের জুটি গড়েন কেচি কার্টি ও অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। ৬৬ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ৩৩ রান করে কেচি কার্টি আউট হলে ভাঙে এই জুটি। তাকে তামিম ইকবালের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান নাসুম আহমেদ।
নিকোলাস পুরান ও রবম্যান পাওয়েলের জুটি জমতে না দিয়ে ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। ১৮ রান করা পাওয়েলকে ফেরান বোল্ড করে। পরে কিমো পল ও নিকোলাস পুরানকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন তাইজুল। ওয়ানডে ক্রিকেটে এই প্রথম পাঁচ উইকেট শিকার করলেন তিনি।
আউট হবার আগে অবশ্য দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন নিকোলাস পুরান। ১০৯ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে ইনিংস সাজিয়েছিলেন তিনি। ওয়ানডে অধিনায়ক হবার পর এটিই তার প্রথম ফিফটি।
১৫৩ রানে ৯ম উইকেট হারানোর পর শেষ উইকেট জুটিতে ২৫ রান যোগ করে ১৭৮ অব্দি যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪৮.৪ ওভারে তারা অলআউট হয় ১৭৮ এ।
তাইজুলের ৫ উইকেট ছাড়াও ২ টি করে শিকার নাসুম আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের। ১ উইকেট নেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (১ম ইনিংস শেষে):
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৭৮/১০ (৪৮.৪), হোপ ২, কিং ৮, ব্রুকস ৪, কার্টি ৩৩, পুরান ৭৩, পাওয়েল ১৮, কিমো ৬, আকিল ১, শেফার্ড ১৯, মতি ২, জোসেফ ৭*; নাসুম ৯.৪-১-৩৯-২, মুস্তাফিজ ৯-০-২৪-২, তাইজুল ১০-২-২৮-৫, মোসাদ্দেক ১০-১-২৩-১।