

রাজশাহীতে ক্রিকেট উন্মাদনা ফিরেছে বেশ ভালোভাবেই। দিন কয়েক আগে স্থানীয় ক্রিকেটারদের আয়োজনে দ্বিতীয় বারের মতো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ায়। দেশীদের সাথে ছিল বিদেশি কয়েকজন তারকাও। এবার শেষ হল বাংলাদেশ টাইগার্স ও এইচপির (হাই পারফরম্যান্স) চার দিনের ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ক্রিকেটাররা প্রশংসা করেছেন উইকেটের।
৯ উইকেটের বড় ব্যবধানেই ম্যাচটি জিতে নেয় বাংলাদেশ টাইগার্স। শেষ দিন দুই সেশন হাতে রেখে জয়ের জন্য লক্ষ্য ঠিক ১২৭। ইমরুল কায়েস ও নাইম শেখের ব্যাটে ২২.৩ ওভারে এক সেশনেই তা তাড়া করে বাংলাদেশ টাইগার্স।
শুরুতে সৌম্যের (৯) উইকেট হারালেও ওয়ানডে মেজাজে ১১১ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে ইমরুল-নাইম সহজেই দলকে জয় এনে দেন। ৫৫ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় ৪৭ রানে নাইম শেখ ও ৬৯ বলে ৯ চার ৩ ছক্কায় ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ইমরুল। এ তো গেল ব্যাটারদের কীর্তি।
শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামের উইকেটে যে সবকিছুই ছিল তার প্রমাণ পাওয়া যায় আগের তিন দিনে। ম্যাচে দুই দল মিলে উইকেট পড়ে ৩০ টি, পেসাররা নিয়েছেন ১৮ বাকি ১২ টি স্পিনারদের। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ টাইগার্স দুই ব্যাটার সৌম্য (৮১)ও ফজলে রাব্বি (৮৯) সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তেও যান।
সচরাচর এমন স্পোর্টিং উইকেট কমই দেখা যায় বাংলাদেশে। রাজশাহীতে এমন কিছু দেখে মুগ্ধ দুই দলের ক্রিকেটাররা।
বাংলাদেশ টাইগার্সের ব্যাটার ফজলে রাব্বি বলেন,
‘উইকেটটা খুবই সুন্দর, স্পোর্টিং উইকেট ছিল। সচরাচর আমরাতো এ ধরণের উইকেটে খেলি না। তো খুবই ভালো লেগেছে এরকম উইকেট আমরা পেয়েছি।’
এইচপি অধিনায়ক আকবর আলিরও একই মত,
‘এরকম উইকেট আমরা অনেকদিন পরে পেলাম। খুবই বাউন্সি এবং ট্রু উইকেট। আমার মনে হয় এখানে সবার জন্য সব কিছু ছিল, স্পোর্টিং উইকেট ছিল।’
ম্যাচটি মূলত সিলেটে আয়োজন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানকার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়াতে এইচপি ক্যাম্পের সাথে চার দিনের ম্যাচটিও সরিয়ে আনা হয় রাজশাহীতে।
এই ম্যাচ দিয়েই চলমান বাংলাদেশ টাইগার্স ও এইচপি ক্যাম্পের ঈদ পূর্ববর্তী কার্যক্রমের ইতি ঘটে। ঈদের ছুটি শেষে দুই ক্যাম্পের ক্রিকেটাররা খুলনায় মুখোমুখি হবে। সেখানেই খেলবে আরও একটি চার দিনের ম্যাচ।