

দুই ইনিংসেই দাপুটে ব্যাটিং বাংলাদেশ টাইগার্সের। প্রথম ইনিংসে সৌম্য সরকার (৮১) ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি (৮৯) পুড়েছেন সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে। মাঝে বোলাররা জয়ের পথটা সহজ করলে দ্বিতীয় ইনিংসে ইমরুল কায়েস ও নাইম শেখের ব্যাটে ৯ উইকেটের বড় জয় পেলো জাকির হাসানের দল।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে চার দিনের ম্যাচের আজ (৩ জুলাই) শেষ দিনে বাংলাদেশ টাইগার্সকে ১২৭ রানের বেশি লক্ষ্য দিতে পারেনি এইচপি। নবম উইকেট জুটিতে রিশাদ হোসেন ও এনামুল হকের দৃঢ়তায় এই লক্ষ্য দেওয়া সম্ভব হয়।
জবাবে ইমরুলের অপরাজিত ৬৮ রানের সাথে নাইমের অপরাজিত ৪৭ রানে সহজেই জয় পায় বাংলাদেশ টাইগার্স।
৪ উইকেটে ১২৩ রান নিয়ে দিন শুরু করে এইচপি। ৩০ রানে দিপু ও ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন আইচ মোল্লা।
দুজনেই আজ ফিরেছেন দিনের শুরুতে। দিপু ৪০ ও আইচ মোল্লা আটকে গেছেন ১৫ রানে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে অলআউট হতে হয়েছে ২১৭ রানে।
এই সংগ্রহ পাওয়ার পথে ৯ নম্বরে নামা রিশাদের ৩১ ও ১০ নম্বরে নামা এনামুলের ২৩ রানের বড় ভূমিকা। ১৫৮ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর দুজনে নবম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৫৯ রান। আর তাতে বাংলাদেশ টাইগার্সের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৭।
২১.৫ ওভারে ৩৫ রান খরচায় ৪ উইকেট বাংলাদেশ টাইগার্সের বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলামের। ১২ ওভারে ৩৫ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনির।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২০ রানে ওপেনার সৌম্য সরকারকে (১১ বলে ৯) হারায় বাংলাদেশ টাইগার্স। তবে এরপর আর কোনো বিপদ ছাড়াই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে জাকির হাসানের দল।
২২.৩ ওভারে দলকে ম্যাচ জেতানোর পথে ৫৫ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় ৪৭ রানে নাইম শেখ ও ৬৯ বলে ৯ চার ৩ ছক্কায় ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ইমরুল কায়েস। দুজনে জুটিতে অবিচ্ছেদ্য ছিলেন ১১১ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে এইচপি করতে পারে ২২৭ রান। জবাবে প্রথম ইনিংসে সৌম্য সরকারের ৮১ ও ফজলে মাহমুদ রাব্বির ৮৯ রানে ভর করে ৩১৮ রান বাংলাদেশ টাইগার্সের স্কোরবোর্ডে।