

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের উন্নতির হারটা খুব একটা সন্তোষজনক না। বিশেষ করে ঘুরে ফিরে ব্যাটিং বিভাগের ব্যর্থতা আসবে সামনে। প্রাকৃতিক কারণেই নেই পাওয়ার হিটার, বিশেষজ্ঞ টি-টোয়েন্টি ব্যাটার। শারীরিক গঠনে পরিবর্তন আনা সম্ভব না হলেও টি-টোয়েন্টির জন্য স্কিলের দিক থেকে পরিবর্তন আনতে চান ব্যটিং কোচ জেমি সিডন্স।
১২৫ টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ৪৪ টিতে। সর্বশেষ ১০ ম্যাচে সংখ্যাটা মাত্র ১! এমন পরিস্থিতিতেই ২ জুলাই ডমিনিকিয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
তার আগে সেন্ট লুসিয়ায় গতকাল (২৯ জুন) অনুশিলন শেষে এক ভিডিও বার্তায় কথা বলেন সিডন্স। সেখানেই শারীরিক গঠনে টাইগার ক্রিকেটারদের সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে ভিন্ন পন্থা খুঁজে বের করার কথা জানান এই অস্ট্রেলিয়ান।
তার মতে সমাধান হতে পারে স্ট্রাইক রোটেট। প্রচুর ছক্কা হাঁকানোর বদলে নিয়মিত সিঙ্গেল আর চার আদায় করতে পারলে ইনিংস শেষে তা বেশ কয়েকটি ছক্কার মতোই কাজ করবে।
এ নিয়ে জেমির ভাষ্য, ‘জাতি হিসেবে আমার মনে হয় না আমাদের খুব দীর্ঘকায় গড়নের খেলোয়াড় রয়েছে। যেমন জস বাটলার ৬’২”, বড় শরীর… গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৬’২”, মার্কাস স্টয়নিস বড়সড় দৈহিক গড়ন… তাই আমাদের অন্যভাবে উপায় খুঁজতে হবে। আমরা দৈহিক গড়নে অন্য দলগুলোকে পেছনে ফেলতে পারবো না। আমার মতে, আমাদের বোলিং বিভাগ খুব ভালো। আমার মনে হয় না, আমাদের অনেক বেশি রান করতে হবে। বোর্ডে একটা ভালো সংগ্রহ দাঁড় করাতে হবে।’
‘তো সিঙ্গেল অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে পাওয়ার হিটিং অবশ্যই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতায়। যত বেশি বাউন্ডারি, তত বেশি ম্যাচ জেতা যায়। তাই আমাদের এখনও পাওয়ার হিটিংয়ে মনোযোগ দিতে হবে, ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। অনেক চার মারতে হবে… আপনি জানেন এটি (চার মারা) অনেকগুলো ছক্কা মারার মতোই।’
‘আমরা যদি অনেক চার মারতে পারি, অনেক সিঙ্গেল নিতে পারি… পাশাপাশি কিছু ছক্কা হাঁকালে আমরা বোর্ডে ভালো স্কোর দিতে পারবো। এরপর আমাদের বোলিং আক্রমণ বাকিটা সামলে নিতে পারবে। আমাদের ম্যাসিভ স্কোর করতে হবে না।’