

টেস্ট ক্রিকেটে তিন নম্বর পজিশনের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার মাইকেল হাসি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এই আইডিয়াটা পছন্দ করি যে সেরা ব্যাটার ৩ নম্বরে আসবে এবং দলের একটা টোন সেট করবে। রিকি পন্টিং, সে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কাজটা দারুণভাবে করেছে ক্রিজে এসে দৃষ্টি নন্দন, ইতিবাচক ও আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে প্রতিপক্ষকে দিয়েছে বার্তা। এর সাথে দলের অন্য ব্যাটারদের আশ্বস্ত করে যে পিচ ব্যাটিং করার জন্য খারাপ নয়।’
মাইক হাসির উপরোক্ত মন্তব্যেই পরিষ্কার এই পজিশনের মহাত্মটা কেমন। বিশ্বের প্রায় সব দলই এই পজিশনটি বরাদ্দ রাখে দলের সেরা ব্যাটারের জন্য। বিশেষ করে ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য টেকনিক্যালি দারুণ দক্ষদেরই দেখা যায়। ক্রিকেট ইতিহাসের কিছু কিংবদন্তীর নাম উল্লেখ করলে হয়তো আরও স্পষ্ট করা সম্ভব।
কুমার সাঙ্গাকারা ১২ হাজারের (১১৬৭৯) কাছাকাছি রান করেছেন তিন নম্বরে নেমে। এই পজিশনে রাহুল দ্রাবিড়ের রান ১০৫২৪। রিকি পন্টিংয়েরও আছে প্রায় ১০ হাজার রান (৯৯০৪)।
তিন নম্বরে ব্যাট করে উদাহরণ হয়ে আছেন হাশিম আমলা (৭৯৯৩), কেন উইলিয়ামসন (৬৭৫০), চেতেশ্বর পূজারা (৬১৩৩), আজহার আলি (৫২২১), ডন ব্র্যাডম্যান (৫০৭৮), রিচি রিচার্ডসন (৪৭১১), রোহান কানহাই (৪৬৮৯)।
এই ১০ জনের মাঝে তিন নম্বরে ব্যাট করে ৪৫ এর নিচে গড় কেবল পূজারার (৪৪.৪৪) ও আজহার আলির (৪৩.৮৭)। ডন ব্র্যাডম্যানের গড় তো ১০৩.৬৩, যদিও তার আক্ষেপ হয়ে থাকবে ক্যারিয়ার গড় ৯৯.৯৪!
এই পজিশনের জন্য দারুণভাবে অনুসরণযোগ্য হতে পারেন ইয়ান চ্যাপেল (৪২৭৯), ব্রায়ান লারা (৩৭৪৯), ভিভিয়ান রিচার্ডস (৩৫০৮), জনাথন ট্রট (৩১০৯), ইউসুন খানরা (৪০৫৫)।
বর্তমানে খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের মাঝে উইলিয়ামসন, পূজারা, আজহার আলি ছাড়াও উসমান খাজা, জো রুট, মারনাস লাবুসানে, স্টিভ স্মিথরা অন্যতম।
২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন নম্বরে নেমে শূন্য হাতে ফেরেন মইন আলি। এরপর সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন তিন নম্বর পজিশনের মহাত্ম নিয়ে কথা বলেন।
তার ভাষায়, ‘সে (মইন আলি) টেস্টের জন্য তিন নম্বর ব্যাটার না কোনোভাবেই। টেস্টে আপনার তিন নম্বর ব্যাটারকে হতে হবে হাই ক্লাস টপ অর্ডার ব্যাটার। লোকে বলতে পারে সে তো ওরচেস্টারশায়ারের তিন নম্বরেই খেলে, ওটা কাউন্টি, এখানে (আন্তর্জাতিক) এটা কাজ করবে না।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৫ সালের অ্যাশেজে ম্যাচ বাঁচানো ১৫৬ রানের ঐতিহাসিক ইনিংস খেলে রিকি পন্টিং বলেন, ‘তিন নম্বরে ব্যাট করার সুযোগ পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমি নিজেকে দলের গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী একটা অংশ ভাবতে পারিনি কখনো। এটা আমার উপরই ছিল, একজন তিন নম্বর ব্যাটার ও অধিনায়ক হিসেবে দলের জন্য ম্যাচ বাঁচানোর চেষ্টা করা।’
তবে বাংলাদেশের হয়ে বর্তমানে তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত আপনাকে হতাশ করতে বাধ্য। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে হয়তো পাশ মার্ক পেয়ে যেতে পারেন। কিন্তু শুধু পাশ মার্ক কি আসলেই একজন তিন নম্বর ব্যাটারের জন্য যথেষ্ট?
এই পজিশনে দুর্দান্ত পরিসংখ্যানের অধিকারি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেলের কাছ থেকেই জানা যাক একজন আদর্শ তিন নম্বর ব্যাটারের কেমন গুণ থাকা উচিৎ।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনের এক কলামে তিনি লিখেন, ‘একজন ভালো মানের তিন নম্বর পজিশনের ব্যাটারের জন্য সুযোগ থাকে প্রতিষ্ঠিত ট্রেন্ডের বাইরে গিয়ে একটা প্যাটার্ন সেট করার। স্কোরবোর্ডে কোনো রান ওঠার আগেই এক উইকেট পড়বে যদি আপনি এটার জন্য প্রস্তুত না থাকেন তাহলে তিন নম্বর পজিশনের ব্যাটার হিসেবে এটা সঠিক ‘ফ্রেম অব মাইন্ড’ না।’
‘তিন নম্বর পজিশনের ব্যাটার কখনো ওপেনারের ব্যর্থতা কামনা করবে না। তবে যদি এমন হয় কয়েক ঘন্টা প্যাড, গ্লাভস পরে রেডি থাকার চেয়ে শুরুতেই ক্রিজে যেতে পারছেন তাহলে ব্যাপারটা মন্দ না।’
নাজমুল হোসেন শান্ত এখনো পর্যন্ত ক্যারিয়ারে ৩৬ ইনিংস ব্যাট করেছেন যার ৩০ ইনিংসেই দেখা গেছে তিন নম্বরে। যেখানে ২৮.৬৬ গড়ে রান করেছেন ৮৩১। সর্বশেষ ফিফটির দেখা পেয়েছেন ১২ ইনিংস আগে। এই ১২ ইনিংসে ৩০ পেরোতে পেরেছেন মাত্র তিন বার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অ্যান্টিগা টেস্টে ব্যর্থ হয়ে (০ ও ১৭) সেন্ট লুসিয়া টেস্টে বাদ পড়ার দ্বারপ্রান্তেই ছিলেন। তবে বলা যায় অনেকটা শেষ সুযোগের মতো সৌভাগ্যক্রমে টিকে যান। দলের ভরাডুবির মাঝে তার ২৬ ও ৪২ রানের ইনিংস দুইটি হয়তো তার লাইফলাইন হয়ে ধরা দিয়েছে।
ক্রিকেট বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞদের মতে তিন নম্বরে ব্যাট করার জন্য প্রয়োজন বেশ তীক্ষ্ণ বুদ্ধির। নতুন বলের সুইং পড়তে পারায় হতে হয় দক্ষ। প্রথম কয়েক বল দারুণ পরীক্ষা দিতে হয়। একটু আগেই উইকেট নেওয়া বোলারের যে ছন্দ সেটাকে ভেঙে দেওয়ার সামর্থ্য থাকা লাগে। যা মোকাবেলা করতে সফট হ্যান্ড ডিফেন্সই উত্তম পন্থা।
শান্ত সফট হ্যান্ড ডিফেন্সের দিক থেকে কতটা দক্ষ কিংবা দুর্বল তা দেখভাল করবে সংশ্লিষ্ট কোচ, এনালিস্ট। তবে বিশ্লেষকদের মতে ডিফেন্সিভ ব্যাটিং টেকনিকে ভারতের রাহুল দ্রাবিড়ের বিকল্প নেই বললেই চলে।
দ্রাবিড়কে নিয়ে ইংলিশ অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ একবার বলেছেন, ‘তাকে দ্য ওয়াল হিসেবে ডাকা হয়। কিছু আঘাত থেকে নিজেকে মুক্ত করার মতো সামর্থ্যবান একজন সে, তাই নয় কি? খেলাটা কীভাবে খেলতে হবে সে তার বড় উদাহরণ।’
‘ইনিংসজুড়ে তার গতি পরিবর্তন হয়না একটুও। সে ব্যাটিংটাকে ভালোবাসে আর শুধু তা টেনেই নিতে চায়। আমাদের আরও বেশি অধ্যবসায় করতে হবে আর তা চওড়া ব্যাটকে পরাস্ত করার জন্য।’
তাকে নিয়ে স্বদেশী সুনীল গাভাস্কার বলেন, ‘রাহুল দ্রাবিড় ক্রিজে প্রশান্তি এনেছেন যা ড্রেসিং রুমে স্নায়ু ঠিক রাখতে ভালোভাবে কাজ করে। সে যেভাবে খেলে তাতে দুশ্চিন্তা দূরে চলে যায়।’
তিন নম্বর পজিশনের ব্যাটারের টেকনিক্যালি দারুণ দক্ষ হয়ে থাকেন জেনে বোলাররাও প্রতিরক্ষা প্রাচীর ভাঙতে নানা ধরণের বৈচিত্রের পথে হাঁটেন। সে ক্ষেত্রে বোলারদের মোকাবেলা করতে তিন নম্বরে নামা ব্যাটারকে ফ্লেক্সিবল হতে হয়। আর এমন সব কিছু সমন্বয়েই একজন পরিপূর্ণ টেস্ট ব্যাটার তৈরি হয়।
টেস্ট ক্রিকেটে ভিন্ন ধরণের ফিল্ড সেটাপের কারণে ‘ভি’ অঞ্চলে শট খেলে বাউন্ডারি আদায় করা ব্যাটারের জন্য বুদ্ধিমান কাজ। সে ক্ষেত্রে কভার ড্রাইভ, স্ট্রেইট ড্রাইভ ও মিড-উইকেট দিয়ে ফ্লিক হতে পারে সেরা পন্থা।
অন্যদিকে এই শটসগুলো খেলার জন্য ব্যাটকে উল্লম্ব কোণে নিচে নামিয়ে আনতে হয়, যা কঠিন পরিস্থিতিতে টেস্টে টিকে থাকার জন্য নিরাপদ। তিন নম্বরে নামা প্রতিটি ব্যাটারকেই এসব শটে দক্ষ হতে হয় বলে মত দেন বিশ্লেষকরা।
টানা বল করতে গিয়ে বোলাররা ওভার পিচড ডেলিভারি করতে পারেন মাঝে মাঝে। আর এসব শটে দক্ষ ব্যাটার এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রান তোলার কাজটাও ঠিকঠাক করতে পারবেন। এর বাইরে বাউন্সার ও ইয়র্কার বোলারদের নিয়মিত অস্ত্র। ফলে তিন নম্বরে নামা ব্যাটারের জন্য পুল শটের সাথে ইয়র্কারকে সামলানোর মতো সামর্থ্যবান হতে হয়।
যদি উদাহরণ দেওয়া যায় বলতে হয় ব্রায়ান লারা ও রিকি পন্টিংয়ের হাতে সবগুলো শটই ছিল। লারাকে অবশ্য আরও উচ্চতায় রাখেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা, বল হয় একজন তিন নম্বর ব্যাটারের জন্য যেসব শটে দক্ষ হওয়া প্রয়োজন লারার কাছে ছিল তার চেয়ে বেশি।
তবে শান্তর হাতে একজন তিন নম্বর ব্যাটার হিসেবে যে পরিমাণ শটস থাকা প্রয়োজন তা যে নাই ধরা পড়বে খালি চোখেই। অফ ড্রাইভ, কভার ড্রাইভ আর মিড অফে ঠেলে দেওয়ার বাইরে বলের মেধা বিচার করে শট খেলতে কমই দেখা যায় এই বাঁহাতিকে।
তিন নম্বর ব্যাটারকে স্পিন খেলায়ও দক্ষ হতে হয়। উপমহাদেশের কন্ডিশনে কোনোভাবে নতুন বল পার করে দিলেই সম্মুখীন হতে হয় ভালো মানের স্পিনারদের। এ ক্ষেত্রেও স্পিনারদের ড্রিফট ও টার্ন সামলে সেরাদের সেরা তালিকায় ব্রায়ান লারা আছেন উপরের দিকে।
যেখানে দারুণ সব সুইপ, কভার ড্রাইভ ও লফটেড স্ট্রেইট ড্রাইভে দক্ষতার জানান দিতেন এই ক্যারিবিয়ান। এশিয়ার ভেতরে স্পিনে বেশ সাবলীল বলে খ্যাত রাহুল দ্রাবিড় ও ইউনুস খান।
অথচ ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে একটি ইংরেজি দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শান্ত নিজেই স্পিনে দুর্বলতার কথা স্বীকার করছেন।
তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমি মনে করি স্পিন একটা বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। সে জন্য আমি ইতোমধ্যে এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। যেহেতু আমি নিয়মিত টেস্ট খেলছি তাই ধীরে ধীরে এটা সামলানো আমার জন্য সহজ হয়ে যাচ্ছে।’
তবে তিন নম্বরে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত শান্তর নিজের না। টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়াতেই ২০২০ সালে পাকিস্তান সফর দিয়ে এই পজিশনে যাত্রা শুরু এই বাঁহাতির। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মাঝে মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসানের সুযোগ ছিল তিন নম্বর পজিশনে স্থায়ী হওয়ার। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই পজিশন আপন করে নিতে পারেনি তাদের।
মুমিনুল হক অবশ্য দীর্ঘদিন ব্যাট করেছেন এই পজিশনে। ৫১ ইনিংসে ৩৪.২৪ গড়ে ১৬৭৮ রান তার ব্যাটে। কিন্তু একটা সময় তিনিও ৪ নম্বর পজিশনে স্থায়ী হয়ে যান। সর্বশেষ ইনিংসেও ৪ নম্বরেই খেলেছেন।
মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান পুরো ক্যারিয়ারে আবার একবারও ব্যাট করেননি তিন নম্বরে।
বাংলাদেশের হয়ে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৮০ ইনিংসে তিন নম্বরে ব্যাট করে প্রায় ৩২ গড়ে হাবিবুল বাশার সুমন করেছেন ২৫২৩ রান। এই পজিশনে ব্যাট করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় বিশ্বেই ২৯তম অবস্থান তার। দেশের অভিষেক টেস্টেই তিন নম্বরে নামেন সাবেক এই অধিনায়ক।
বাশার, মুমিনুল ও শান্তর বাইরে অবশ্য ১৩৪ টেস্টে তিন নম্বরে আর কাউকে খুব বেশিদিন খেলাতে পারেনি টাইগার ম্যানেজমেন্ট। ২৩ ইনিংস ব্যাট করে বাঁহাতি ব্যাটার জুনায়েদ সিদ্দিকী করেন ৩২.২৬ গড়ে ৭৪২ রান।
অথচ সব মিলিয়ে ২৪ জন বাংলাদেশী ব্যাটার কোনো না কোনো সময় ৩ নম্বরে ব্যাট করেছেন । যদিও নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নামা তাপস বৈশ্য, মাশরাফি বিন মর্তুজা, এনামুল হক জুনিয়র, তাইজুল ইসলামদের রাখতে হচ্ছে হিসাবের বাইরেই।
শান্তকে তিন নম্বরে খেলানো নিয়ে সমালোচনা হতেই পারে। কিন্তু তার বিকল্প হিসেবে স্কোয়াডে কিংবা স্কোয়াডের বাইরে যোগ্য বিকল্প খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বর্তমান দলে সিনিয়রদের ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন নিয়ে নূন্যতম কানা ঘুষা হলেও সেটাকে আত্ম মর্যাদায় আঘাত হিসেবে ধরা হচ্ছে।
আবার নতুন কাউকে উপরের দিকে খেলাতে চান না কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। অন্যদিকে ৬-৭ নম্বরে ব্যাট করে দারুণ সফল লিটন দাস নিজেও চান না উপরের দিকে উঠতে।
সমস্যা সবারই জানা কিন্তু বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? বাংলাদেশের পরের টেস্ট সিরিজ নভেম্বরে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২-০ ব্যবধানে বাজেভাবে টেস্ট হেরেছে টাইগাররা।
অধিনায়ক সাকিব বলছেন এই সময়ের মাঝে সবাই মিলে পরিকল্পনা করে টেস্টে উন্নতিতে কাজ করা জরুরী। সাকিবের এই পরিকল্পনায় তিন নম্বর ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কিছু আছে কীনা সেটাও সময় বলে দিবে।