

ক্যারিয়ারের ১৪তম টেস্ট খেলতে নেমে সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটার কাইল মায়ের্স। অভিষেক ম্যাচে পাওয়া সেঞ্চুরিকে তো ডাবলে রূপ দিয়ে চট্টগ্রামে রেকর্ড গড়ে দলকে জেতান। দুই সেঞ্চুরির দুটোই বাংলাদেশের বিপক্ষে। গতকাল (২৫ জুন) ১৩২ রানে ৪ উইকেট হারানো ক্যারিবিয়ানদের টেনে তোলেন মায়ের্সই। বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর আকাঙ্খা এমন একটা ইনিংস খেলবে টাইগার কোনো ব্যাটারও।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ থেমেছে ২৩৪ রানে। জবাবে বিনা উইকেটে ১০০ ওয়েস্ট ইন্ডিজের, এরপর হঠাত ধাক্কায় ৪ উইকেটে ১৩২! সেখান থেকে শুরুতে সহ অধিনায়ক জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে নিয়ে ১১৬ রানের জুটি, পরে জশুয়া ডি সিলভার সাথে ৯২ রানের জুটিতে।
আর তাতে দল দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ৫ উইকেটে ৩৪০ রানে, লিড ইতোমধ্যে ১০৬। যে পথে কায়ের্স অপরাজিত ১৮০ বলে ১৫ চার ২ ছক্কায় ১২৬ রানে। এমন একটা ইনিংস খেলার সময় ভালো বলকে সমীহ করার পাশাপাশি বাজে বলে বোলারকে শাস্তি দিয়েছে এই বাঁহাতি ব্যাটার।
এই টেস্টে পিছিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ কোচ ডোমিঙ্গো সংবাদ সম্মেলনে মায়ের্সকে নিয়ে বলেন, ‘মায়ের্সের মতো ১২০ রানের ইনিংস খেলতে হবে আমাদের কারও। গত বছর ওরা আমাদের বিপক্ষে ৪০০ রান তাড়া করেছে চট্টগ্রামে, মায়ের্স তখন ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। আমাদের কেউ এখন তেমন বড় ইনিংস খেলতে পারছে না। মায়ের্সকে দেখে শিক্ষা নিতে হবে। টেস্ট ম্যাচ অনেক কঠিন। এরকম ভালো ব্যাটিং করতে না পারলে ভালো দলগুলি শাস্তি দেবে এবং আমাদেরকে এখন সেই শাস্তি পেতে হচ্ছে।’
বোলারের উপর চড়াও হতে গিয়ে বেশ কয়েকবারই এজ হয়েছে মায়ের্সের। কখনো আবার নো ম্যানস ল্যান্ডে পড়েছে তার খেলা শট, স্লিপে বাড়তি ফিল্ডারের আক্ষেপেও পুড়তে হয়েছিল টাইগার বোলারদের। তবে ভাগ্যের এই সহায়তাকে ইতিবাচক বলছেন ডোমিঙ্গো, ভাগ্য যে নিজেকেই গড়ে নিতে হয়!
তার ভাষ্য, ‘এই ম্যাচে এখনো অনেক খেলা বাকি। মেয়ার্স দেখবেন ইতিবাচক ব্যাটিং করেছে। কাভারে অনেক রান করেছে সে। নিজের ব্যাটিং পরিকল্পনা যতক্ষণ পেরেছে খেলেছে। ভাগ্যও তাঁর সঙ্গে ছিল। কিছু এজ স্লিপ ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে গিয়েছে। এক-দুটি বল গিয়েছে স্লিপের পাশ দিয়ে। কিন্তু নিজের ভাগ্য তো নিজেকেই গড়তে হয়। সে দারুণ ইন্টেন্সিটি দেখিয়েছে। বাজে বলকে শাসন করেছে।’