

সেন্ট লুসিয়া টেস্টের প্রথম দিনে পিছিয়ে বাংলাদেশ। অথচ টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরুই পেয়েছিল। ব্যাট হাতে সাবলীল ছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ফিফটির আগেই থামেন, ছন্দ হারিয়ে ২৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি দলও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দিন শেষ করে বিনা উইকেটে ৬৭ রান তুলে। তামিম বলছেন নিজের আউট নিয়ে কোনো অজুহাত দিতে চান না। নিজেদের ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলারদের নিয়েও সন্তুষ্ট নন তিনি।
উদ্বোধনী জুটিতে মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে তামিমের ৪১ রান। জয় (১০) আউট হলেও সহজাত ব্যাট করছিলেন তামিম। কিন্তু আলঝারি জোসেফের খানিক লাফিয়ে ওঠা বলে দ্বিধায় পড়ে ক্যাচ দেন পয়েন্টে। ৬৭ বলে ৯ চারে সাজানো ৪৬ রানের ইনিংস সেখানেই ইতি ঘটে।
নিজের উইকেট নিয়ে দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই বাঁহাতি ওপেনার বলেন, ‘এমন শুরু পেলে সচরাচর আমার ইনিংসগুলো বড় হয় টেস্টে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজকে বড় করতে পারিনি। আজকে বলটা হয়তোবা আমি ছেড়ে দিতে পারতাম কিন্তু বলটা যতটুকু ওঠার কথা ছিল না ততটুকু উঠেছে।’
‘এ কারণে আমার ব্যাটের স্টিকারে লাগে। কিন্তু আমি এমন একজন যে এখানে এসে বলবনা এ কারণে হয়নি ও কারণে হয়নি। আমার কাছে মনে হয় এমন শুরু পেয়ে দলের সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে টেনে নেওয়া উচিৎ ছিল। তাই আমার কোনো অজুহাত নেই।’
তামিমের বিদায়ের পরও ২ উইকেটে ১০০ রান স্কোরবোর্ডে। তবে সেখান থেকে খেই হারিয়ে ৬ উইকেটে ১৩৮! মাঝে লিটনের ফিফটি (৫৩) ও শেষদিকে শরিফুল (২৬) ও এবাদতে (২১*) গুরুত্বপূর্ণ দুই ইনিংসে ২৩৪ বাংলাদেশের।
তামিমের মতে এমন ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে রানটা অন্তত ৩০০ হতে পারতো, ‘উইকেট টা উঁচু নিচু ছিল কিন্তু আমাদের আরেকটু ভালো ব্যাটিং করা উচিৎ ছিল। আমরা যদি ৩০০ বা ৩২০ রান করতাম তাহলে ভালো স্কোর হত। কারণ খানিক উইকেট উঁচু নিচু ছিল।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ এদিন ১৬ ওভার ব্যাট করেই বিনা উইকেটে ৬৭ রান তোলে। ওভার প্রতি ৪ এর বেশি রান নিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের ঝলক দেখায় ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও জন ক্যাম্পবেল। তামিম বলছেন এ ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ অন্তত ২০-২৫ রান বেশি দিয়েছে।
তার ভাষ্য, ‘বোলিংয়েও আমরা ২০-২৫ রান বেশি দিয়ে ফেলেছি, এই রানটা কম দিলে আরও ভালো হত। কারণ ওরা যে ধরণের ব্যাটিং করে স্বাভাবিকভাবে এতো দ্রুত রান তোলে না। জন ক্যাম্পবেল ছাড়া। আমার কাছে মনে হয় ২০-২৫ রান দিয়ে দিয়েছি।’
উইকেটে সুইং, মুভমেন্ট নেই একদমই। ফলে ব্যাকফুটে থেকে দ্বিতীয় দিন শুরু করলেও নিজেদের সুযোগ আছে মনে করেন টাইগার ওপেনার। তবে নিজেদের হতে হবে ধৈর্য্যশীল।
তামিম বলেন, ‘কালকে সকালের সেশনটা গুরুত্বপূর্ণ হবে কারণ এখানে খুব বেশি সুইং নাই। যেটা লাস্ট টেস্টে ছিল, এই টেস্টে খুব বেশি সুইং নাই। উইকেট সে কারণে খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমার কাছে মনে হয় আমাদের একটু ধৈর্য্যের খেলা খেলতে হবে। রানটা আটকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উইকেট নেওয়া যায়।’