

আজ (২৪ জুন) থেকে সেন্ট লুসিয়ার গ্রস আইলেটে ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ২য় ও শেষ টেস্ট। ১ম দিনের খুটিনাটি আপডেট এই লাইভ রিপোর্টে।
১ম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৩৪ঃ
এবাদত হোসেনের রান করতে কষ্ট হয়, এটা আপনি বলতেই পারেন। প্রথম ২৬ টেস্ট ইনিংসে যার রান কেবল ১২, শুন্য হাতে ফিরেছেন ৭ বার। গড় মোটে ১, সর্বোচ্চ ৪ রান।
তবে ২৭ তম ইনিংসে এসে আগের সবকিছুকে ছাপিয়ে গেলেন এবাদত। ৩৫ বলে ৩ চারে অপরাজিত ২১ রান করেন তিনি।
৬৪.২ ওভারে বাংলাদেশ থামে ২৩৪ রান করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (বাংলাদেশের ১ম ইনিংস শেষে):
বাংলাদেশ ১ম ইনিংসে ২৩৪/১০ (৬৪.২), তামিম ৪৬, জয় ১০, শান্ত ২৬, বিজয় ২৩, লিটন ৫৩, সাকিব ৮, নুরুল ৭, মিরাজ ৯, এবাদত ২১*, শরিফুল ২৬, খালেদ ১; সিলস ১৪.২-৪-৫৩-৩, জোসেফ ১৫-১-৫০-৩, ফিলিপ ৯-১-৩০-২, মায়ের্স ৮-০-৩৫-২।
২০০ পার, ফিরলেন শরিফুলঃ
এর আগে ৬ ইনিংস ব্যাট করে ২ বার কোন রান না করে আউট হওয়া শরিফুল ইসলাম কখনোই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। ৭ম ইনিংসে এসে খেললেন ক্যারিয়ার সেরা ২৬ রানের ইনিংস। ১৭ বলে ৫ চারে ২৬ রান করে বাংলাদেশের রান ২০০ এর গন্ডি পার করান তিনি।
ফিফটির পরেই আউট লিটনঃ
জেইডেন সিলসের বলে ফ্লিক করে মিড উইকেটের ফিল্ডারের উপর দিয়ে বল বাউন্ডারি ছাড়া করে ফিফটি পুর্ণ করেন লিটন দাস। ১৪ তম ফিফটি পূর্ণ করতে খেলেন ৬৬ বল। এরপর অবশ্য টেকেননি বেশি। ৭০ বলে ৮ চারে ৫৩ রান করে আলঝারি জোসেফের ৩য় শিকারে পরিণত হন তিনি। পুল করতে যেয়ে টাইমিংয়ে গরবড়, বল আয় মিড অন ফিল্ডারের হাতে। ১৯১ রানের মাথায় বাংলাদেশ হারায় ৮ম উইকেট।
ফিরলেন মিরাজওঃ
চা বিরতির পরপরই সাজঘরের পথ ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩০ বলে ২ চারে ৯ রান করা মিরাজ মায়ের্সের ২য় শিকারে পরিণত হন। ১৬৫ রানের মাথায় ৭ম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
চা বিরতির আগে নেই আরও ৪ উইকেটঃ
লাঞ্চের পর থেকে চা বিরতির আগ অব্দি ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা। দলের রান ১০০ পার হবার পর ফেরেন এনামুল হক বিজয়। ৮ বছর পর টেস্ট দলে ফেরা বিজয় করেন ৩৩ বলে ৫ চারে ২৩ রান। এটিই অবশ্য তার টেস্টে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। ফিলিপের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি, রিভিউ নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি।
তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত’র ধৈর্যশীল ইনিংস থামান কাইল মায়ের্স। ৭৩ বলে ৪ চারে ২৬ রান করা শান্তকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন মায়ের্স। রিভিউ নিলেও সাজঘরে ফিরতেই হয় তাকে।
আগের টেস্টের দুই ইনিংসেই ফিফটি করা সাকিব আল হাসান এদিন ফেরেন মাত্র ৮ রান করে। ৯ বলে ১ চারে ৮ রান করা সাকিব জেইডেন সিলসের বলে বোল্ড হন।
চা বিরতির আগে সাজঘরে ফেরেন সর্বশেষ ইনিংসে ফিফটি করা নুরুল হাসান সোহানও। ১৯ বলে ৭ রান করে আলঝারি জোসেফের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নুরুল।
৬ উইকেটে ১৫৯ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। লিটন দাস ৩৪ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
লাঞ্চের আগে সাজঘরে দুই ওপেনারঃ
অ্যান্টিগায় তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়ের উদ্বোধনী জুটি ঠিক বলার মত হয়নি। তবে সেন্ট লুসিয়ায় ১ম ইনিংসে তাদের জুটি টেকে ১২.২ ওভার।
দুইবার রিভিউ নিয়ে বাচা মাহমুদুল হাসান জয় শেষমেশ আউট হন অ্যান্ডারসন ফিলিপের বলে। অভিষিক্ত ফিলিপের প্রথম টেস্ট উইকেটে পরিণত হওয়া জয় ৩১ বলে ১ চারে ১০ রান করে বোল্ড হন।
লাঞ্চ বিরতির আগে ফিফটি থেকে ৪ রান দূরে থেকে আউট হন তামিম ইকবাল। ৪৬ রান করতে ৬৭ বল খেলা তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৯ টি চার। ২২.৩ ওভারের মাথায় দলীয় ৬৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
২ উইকেটে ৭৭ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৬ ও এনামুল হক বিজয় ৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
টস আপডেটঃ
টসে জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ একাদশে এসেছে দুই পরিবর্তন। মুমিনুল হক ও মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় একাদশে এনামুল হক বিজয় ও শরিফুল ইসলাম।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে গুদাকেশ মোতির বদলে এসেছেন অ্যান্ডারসন ফিলিপ।
বাংলাদেশ একাদশঃ
তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, এনামুল হক বিজয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, খালেদ আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, এবাদত হোসেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশঃ
ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (অধিনায়ক), জন ক্যাম্পবেল, রেইমন রেইফার, এনক্রুমাহ বোনার, জার্মেইন ব্ল্যাকউড, কাইল মায়ের্স, জশুয়া ডা সিলভা (উইকেটরক্ষক), আলঝারি জোসেফ, কেমার রোচ, অ্যান্ডারসন ফিলিপ, জেইডেন সিলস।