

বড় দলগুলো ম্যাচের আগেরদিনই একাদশ বলে দিচ্ছে। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে এমনটা হয় না। মিডিয়া দূরে থাক ক্রিকেটাররাও নিজেরা নিশ্চয়তা পেতেন না। অন্তত সংবাদ সম্মেলনে আসা অধিনায়কদের কথা এমনটাই বলে। ম্যাচের দিন উইকেট দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হত। তবে সে ধারা থেকে বের হয়ে আসছেন সাকিব আল হাসান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে তৃতীয় দফায় টেস্ট অধিনায়কত্ব পেলেন সাকিব। অ্যান্টিগা টেস্ট ৭ উইকেটের হারে এবারের যাত্রা শুরু। তবে ম্যাচের আগেরদিন সাকিব জানিয়েছিলেন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা জরুরী না হলেও একাদশ চূড়ান্ত হয়েছে ৩ দিন আগেই। এমনকি আজ (২৪ জুন) শুরু হতে যাওয়া সেন্ট লুসিয়া টেস্টের একাদশও যে ম্যাচের আগেরদিন চূড়ান্ত হয়ে যাবে সে নিশ্চয়তা দিয়ে গেছেন।
অর্থাৎ এখানেও একাদশ সাজাতে টসের আগে আরেক দফা উইকেট দেখার প্রয়োজন পড়ছে না। অথচ দিনের পর দিন ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অধিনায়করা খানিক কৌশলী হতে গিয়ে টসের আগে উইকেট দেখে একাদশ চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়ে যেতেন।
সেন্ট লুসিয়া টেস্টে একাদশে আসতে পারে বেশ কিছু পরিবর্তন। যেখানে টানা ব্যর্থ নাজমুল হোসেন শান্তর জায়গায় প্রায় ৮ বছর পর সাদা পোশাক গায়ে জড়াতে পারেন এনামুল হক বিজয়। মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় দেখা যেতে পারে বিজয়ের মতো পরে টেস্ট দলে যোগ দেওয়া শরিফুল ইসলামকে।
বিভিন্ন সূত্র মোতাবেক পাওয়া এসব বিষয়ে অধিনায়কের কাছে সর্বশেষ তথ্য জানতে চেয়েছিল উপস্থিত সাংবাদিক। তার জবাবেই সাকিব জানিয়েছেন গতকাল (২৩ জুন) অনুশীলন শেষেই তারা টিম মিটিং করে একাদশ চূড়ান্ত করছেন। যাতে অন্তত যারা খেলবে তারা আগে থেকে প্রস্তুত হতে পারে মানসিকভাবে।
সংবাদ সম্মেলনে টাইগার দলপতি বলেন, ‘আমাদেরও মাথায় বেশ কিছু চিন্তা আছে কিন্তু আজকে (মূলত গতকাল) অনুশীলন সেশন শেষ হলে আমরা বসে মিটিং করে দল চূড়ান্ত করে আমাদের ইচ্ছে আছে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া। যাতে করে সবাই জানছে যে কারা খেলছে আর কারা খেলছে না।’
সেন্ট লুসিয়ার উইকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে দ্রুত গতির। তাতে বেশি রান হওয়ার সম্ভাবনা দেখেন সাকিব। তার মতে নেটে অনুশীলন সেশনেই এসবে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন তারা। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ড সহ অন্য পেস বান্ধব কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা আছে বলে সমস্যা হবে না মানিয়ে নিতে।
তার ভাষ্য, ‘এরকম পিচ যখন হয় তখন স্বাভাবিকভাবেই রানটা বেশি হয়। খেলাটাও ফাস্ট হয়, তাড়াতাড়ি রান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই ধরনের পিচে আপনার হরিজেন্টাল শটগুলো বেশি কাজে আসে। পেস ও বাউন্স যেটা বললাম সেটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আমরা একটা নেট সেশন করেছি আজকে আরেকটা হলে সবাই মোটামুটি এডজাস্ট করে নিতে পারবে।’
‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন ধরেন নিউজিল্যান্ড বা অন্যান্য দেশে এমন পিচই থাকে। আমাদের খেলোয়াড়রা যেহেতু সব জায়গায় খেলে এখন অভ্যস্ত খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা না।’