সাকিবের প্রশংসায় আরও অনুপ্রাণিত হচ্ছেন তাসকিন

সাকিবের প্রশংসায় আরও অনুপ্রাণিত হচ্ছেন তাসকিন
Vinkmag ad

বাংলাদেশের পেস বোলিং বিভাগে নিশ্চিতভাবেই একটা বিপ্লব ঘটিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। ফিটনেস ও মানসিকতায় এতটাই বদল এনেছেন যে শুধু পেসার না, যে কেউই অনুসরণ করতে পারে তাকে। চোটের কারণে নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট দলে। তবে অ্যান্টিগায় হারা ম্যাচে পেসাররা ভালো করায় অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কৃতিত্ব দেন তাসকিনকে। এই ডানহাতি পেসারও এমন কিছুতে দারুণ অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন বলে জানালেন।

আজ (২২ জুন) মিরপুরে সাংবাদিকদের তাসকিন বলেন, ‘না এটা আসলে কোনো সন্দেহ নেই তিনি (সাকিব) একজন কিংবদন্তী। তিনি যখন বলেছেন ব্যক্তিগতভাবে খুবই ভালো লেগেছে আমার। আরো অনুপ্রাণিত করেছে আমাকে যে, আমি আরো ভালো করতে পারব। খুব ভালো লেগেছে আসলে।’

টেস্টে লম্বা স্পেল বল করার সামর্থ্য খুব বাংলাদেশী পেসারেরই ছিল। তবে তাসকিনের দেখানো পথে সফল হচ্ছে অনেকেই।

চলতি বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়ে বড় অবদান পেসারদের। ব্যাটিং ব্যর্থতায় দল খুব বেশি সফল না হলেও সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বাইরে দারুণ বোলিং করছে তাসকিন, শরিফুল,এবাদত, খালেদরা।

সদ্য সমাপ্ত অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৭ উইকেটে হারলেও পেসাররা ছিলেন দুর্দান্ত। ক্যারিবিয়ানদের নেওয়া ১৩ উইকেটের ৮ টিই নিয়েছেন খালেদ, এবাদত ও মুস্তাফিজ মিলে।

ম্যাচ শেষে পেস বোলারদের প্রশংসা করতে গিয়ে সাকিব তাসকিনকে কৃতিত্ব দিয়ে সাকিব বলেন, ‘একটা বড় কৃতিত্ব দিতে হয় আসলে তাসকিনকে। তাসকিন আসলে শেষ দুই-তিন বছরে দেখিয়ে দিয়েছে যে, কিভাবে আসলে একজন পেস বোলার বড় হতে পারে কিংবা সামনের দিকে এগোতে পারে এবং ব্যাকরণগত কিভাবে উন্নতি করতে পারে। আমার মনে হয়, তাকে অনেকেই অনুসরণ করে। আমাদের পেস বোলারদের ভালো করার পেছনে এটা একটা বড় কারণ।’

‘এর আগে হয়তো কেউ এভাবে কঠিন পরিশ্রম করে, ম্যাচের পর ম্যাচ ৩০-৪০ ওভার একটানা একই পেসে বোলিং করে আসেনি। এটা আসলে এর আগে খুব বেশি হয়নি, তাসকিন করার আগে পর্যন্ত। হয়তো করেছে, টাইম বাই টাইম বা পার্ট বাই পার্ট কিন্তু এতবেশি কেউ করেনি। তাসকিনকে অনেক বেশি ক্রেডিট দিতে হয়, এই চিন্তা ধারাটা পরিবর্তন করার পেছনে আমার মনে হয় তার অনেক বড় ভূমিকা আছে।’

উল্লেখ্য, চোটের কারণে টেস্ট সিরিজ মিস করলেও আগামী ২৪ জুন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার উদ্দেশে দেশ ছাড়বেন তাসকিন। শেষ মুহূর্তে তাকে নিয়ে অবশ্য খানিক শঙ্কা ছিল। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে জিম করতে গিয়ে নতুন করে ব্যথা অনুভব করছিলেন। যদিও গত দুইদিন পুরোদমে বল করে এই শঙ্কাও দূরে ঠেকে দিয়েছেন।

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

হোল্ডার-অশ্বিনদের টপকে সিংহাসনের খুব কাছে সাকিব

Read Next

‘আমি সব ফরম্যাট খেলতে চাই, ভাই…সব ফরম্যাট’

Total
1
Share