সেন্ট লুসিয়ায় পৌঁছে সিদ্ধান্ত হবে মুমিনুলের বিশ্রাম নিয়ে

মুমিনুল ছাড়া কোন অপশন দেখছেন না সাকিব
Vinkmag ad

খারাপ সময় থেকে বেরই হতে পারছেন না মুমিনুল হক। চাপ কমাতে অধিনায়কত্ব ছেড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচের পর ব্যর্থ প্রথম টেস্টেও। তাকে বিশ্রাম দেওয়া নিয়েও উঠছে গুঞ্জন। তবে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলছেন অধিনায়কত্বের মতো বিশ্রামের সিদ্ধান্তও মুমিনুলের কাছ থেকে আসা উচিৎ।

ক্যারিয়ারের শুরুতে তাকে বাংলাদেশের ডন ব্র্যাডম্যান হিসেবে ভাবা হত। ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে পকেট ডায়নামো হিসেবেও খ্যাতি কুড়িয়েছেন। তবে সময়ের সাথে সাথে ষাটোর্ধ্ব গড় এসে ঠেকেছে ৩৮ এর নিচে।

বিশেষ করে ২০১৯ সালে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর খুব একটা ছন্দে ছিলেন না। যা গত এক বছরে রূপ নিয়েছে ভয়াবহ। সর্বশেষ ১৭ ইনিংসে মাত্র ৩ বার ছুঁয়েছেন দুই অঙ্ক, যেখানে একমাত্র ফিফটিও ১২ ইনিংস আগে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যান্টিগা টেস্টের দুই ইনিংস সহ সর্বশেষ ৯ ইনিংসেই এক অঙ্কে আটকে গেছেন এই বাঁহাতি। এমনকি সফরের একমাত্র তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচেও ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক (০ ও ৪)।

এমন পরিস্থিতিতে সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্টের দলে জায়গা নিয়েও চারদিকে গুঞ্জন। কেউ বলছেন অন্তত শেষ সুযোগ হিসেবে সেন্ট লুসিয়া টেস্টে খেলানো হোক আবার কেউ বলছেন এমন ফর্মহীন কাউকে আর টানা উচিৎ নয়।

দলের অধিনায়ক সাকিব অবশ্য এই ইস্যুতে দিয়েছেন কৌশলী উত্তর। প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটে হারের পর আজ (১৯ জুন) সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন বিশ্রাম প্রয়োজন কীনা সেটা মুমিনুলই জানানো দরকার। তবে টাইগার দলপতির দৃষ্টিতে পুরো ব্যাটিং অর্ডারই ব্যর্থ বলে দুই-একজনকে বদলে দিলেই সফল হওয়া যাবে না।

তার ভাষ্য, ‘এটা আমার পক্ষে বলা মুশকিল। কিন্তু যেটা হচ্ছে যে আমার তো ওর সঙ্গে সব সময় কথা হয়। আবারও কথা হবে। ও যদি মনে করে যে হ্যাঁ ওর ব্রেক দরকার আছে সেটা হতে পারে। কিন্তু এখন আমরা আসলে এই মুহূর্তে একটা ম্যাচ শেষ হওয়ার পর কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়াটা বা কোনো কিছু চিন্তা করাটা খুব একটা ভালো কিছু না।’

‘আমি যেটা বললাম যে পরের দুই তিন দিন বিশ্রাম আছে। এরপর যখন সেন্ট লুসিয়া অনুশীলন করব হয়তো সেদিন আমরা চিন্তা করতে পারব যে আসলে আমাদের দলের জন্য কোনটা হলে ভালো হতে পারে। খুব যে বেশি পরিবর্তন করলে খুব বেশি যে ভালো কিছু হবে, সেটার নিশ্চয়তাও আপনি দিতে পারবেন না।’

‘কারণ যারাই খেলছে… আমরা বোধ হয় ১৩-১৪ (অ্যান্টিগা টেস্ট সহ ১১ ম্যাচে ১৩ বার) বার ইনিংসে ১০০ এর নিচে চার-পাঁচ উইকেট হারিয়েছি। সুতরাং সে জায়গা থেকে চিন্তা করলে তো ওই জায়গাটাতে আমাদের অনেক বেশি সমস্যা হচ্ছে। আমাদের সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে এই জায়গা থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব, আমি বিশ্বাস করি। আমরা এর আগেও এই জায়গা পড়েছি এবং বেরও হয়েছি।’

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

সোহানের ইনিংস থেকে শেখার আছে বলছেন সাকিব

Read Next

অ্যান্টিগা টেস্টে না থেকেও সাকিবের বাহবা কুড়ালেন তাসকিন

Total
12
Share