

চলমান অ্যান্টিগা টেস্টে জয়ের দ্বারপ্রান্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে জয় থেকে মাত্র ৩৫ রান দূরে দাঁড়িয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের দল। সংবাদ সম্মেলনে টাইগার ব্যাটারদের কাঁধে দায় চাপাতে কার্পন্য করেননি কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। তবে বোলারদের প্রচেষ্টা নিয়ে গর্ববোধ করছেন।
স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০৩ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৫১ রান অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ব্যাটে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ এসেছে তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে। এর বাইরে দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল লিটন দাস (১২)।
বোলারদের দারুণ প্রচেষ্টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম ইনিংসে আটকানো গেছে ২৬৫ রানে। ১৬২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা বাংলাদেশ থামে ২৪৫ রানে। যেখানে ১০৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর মান বাঁচিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের সাথে সাকিবের ১২৩ রানের জুটি। দুজনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা, সাকিব ৬৩ ও সোহান ৬৪ রানে আউট হন। এর বাইরে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের অবদান ৪২।
৮৪ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে খালেদ আহমেদের পেস বোলিং তোপে ৯ রানেই ৩ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে দলকে জয়ের পথেই রেখেছেন জন ক্যাম্পবেল (২৮*) ও জার্মেইন ব্ল্যাকউড (১৭*)। ৩ উইকেটে ৪৯ রানে তৃতীয় দিন শেষ করে স্বাগতিকরা। জিততে প্রয়োজন আর মাত্র ৩৫ রান।
দুই ইনিংসেই বাংলাদেশ ব্যাটারদের পারফরম্যান্সে হতাশ কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। বিশেষ করে আউট হওয়ার ধরণে ভালোই বিরক্ত এই দক্ষিণ আফ্রিকান।
তিনি বলেন, ‘ভালো না (পারফরম্যান্স মূল্যায়ণ)। দুই ইনিংসেই অনেকগুলো সফট ডিসমিসাল হয়েছে। ব্যাটিংয়ের সময় অনেকগুলো ভুল সিদ্ধান্তও ছিল। প্রথম ইনিংসে ১০৩, এটা আরও বেশি হতে পারতো। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৫ এটাও আরও বেশি হওয়া দরকার ছিল। সুতরাং সারমর্ম করতে গেলে বলতে হয় এক টেস্টে এতগুলো সফট ডিসমিসালই নির্দিষ্ট করে দায়ী।’
৩ নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত টানা ব্যর্থ, সর্বশেষ ১০ ইনিংসে রান করেছেন মাত্র ১৬১। ৪ নম্বরের মুমিনুল হক আছেন আরও খারাপ সময়ে। শেষ ৯ ইনিংসে টানা ও শেষ ১৭ ইনিংসে ১৪ বারই এক অঙ্কে আটকে গেছেন। অধিনায়কত্ব ছেড়ে চাপ কমিয়েও পাচ্ছেন না সুফল। ডোমিঙ্গোর মতে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি থেকেই এমন হচ্ছে।
তার ভাষ্য, ‘এই মুহূর্তে ছেলেদের আত্মবিশ্বাস খুবই তলানিতে। আমাদের বড় কিছু খেলোয়াড়, মুমিনুল (প্রথম ইনিংসে ০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬), শান্তসহ (প্রথম ইনিংসে ০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭) কিছু ছেলে আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগছে। ক্রিকেটে আত্মবিশ্বাস অনেক বড় একটা ব্যাপার। কিন্তু এই মুহুর্তে তাদের ব্যাটিংয়ে সেটা নেই।’
তবে বোলারদের নিয়ে গর্বিত ডোমিঙ্গো যোগ করেন, ‘দুই ইনিংসেই বোলাররা দারুণ করেছে। যেটা প্রথম ইনিংসে আমরা দেখেছি এই পিচে ওদের (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ২৬০ রানে আটকে দেওয়া সত্যি দারুণ প্রচেষ্টা। গত দুইদিনে ছেলেদের বোলিং নিয়ে আমরা গর্বিত।’