

আগেরদিন সাকিব আল হাসান সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৫০ এর মধ্যে আটকাতে চান। সাকিবের দেওয়া লক্ষ্যে আটকানো না গেলেও ২৬৫ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। পেসার খালেদ আহমেদ বলছেন বোলাররা যা করেছে তাতে সন্তুষ্ট দল।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১০৩ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ২ উইকেটে ৯৫ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে বাংলাদেশ বোলারদের নিয়ন্ত্রণে অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও সহ অধিনায়ক জার্মেইন ব্ল্যাকউডের জোড়া ফিফটিতেও ২৬৫ রানেই থামতে হয়।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের। তবে পেসাররাও ছিলেন দুর্দান্ত। স্বাগতিকদের সর্বোচ্চ দুই স্কোরার ব্র্যাথওয়েট (৯৫) ও ব্ল্যাকউডের (৬৩) উইকেট নেন খালেদ আহমেদ। তার বোলিং ফিগার ২২-৪-৫৯-২।
দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, ‘প্রথমত আলহামদুলিল্লাহ। চেষ্টা করেছি নিজের সেরাটা দেওয়ার। শেষ দুইটা টেস্টে যেহেতু ভালো করি নাই ইচ্ছে ছিল যেন সুযোগ পেলে নিজেকে মেলে ধরতে পারি। যেমনটা দক্ষিণ আফ্রিকায় করেছি।’
১৬২ রানের লিড পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ২ উইকেটে তুলেছে ৫০ রান। ইনিংস হার এড়াতে প্রয়োজন আরও ১১২ রান।
খালেদ বলছেন উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো, তার বিশ্বাস টাইগার ব্যাটাররা ঠিকই দারুণ কিছু করে দলকে পথে রাখবে। এখনো জয়ের স্বপ্ন দেখেন এই পেসার।
তার ভাষ্য, ‘উইকেট খুবই ভালো উইকেট। বোলারদের জন্য অতটাও সাহায্য নেই। কিন্তু আমাদের ব্যাটসম্যানরা ইন শা আল্লাহ ভালো খেলবে।’
‘আমরা তো জেতার জন্যই খেলব ইন শা আল্লাহ। আমাদের চেষ্টা থাকবে ব্যাটসম্যানরা স্কোরবোর্ডে যত রান দেবে…। খেলাটা যেন পাঁচ দিনে শেষ হয়।’
এদিকে বোলিংয়ে অধিনায়ক সাকিবের পরামর্শ কি ছিল জানাতে গিয়ে যোগ করেন,প্রথম দিন উইকেটে ময়েশ্চার ছিল, দ্বিতীয় দিন এসে ড্রাই হয়েছে। সাকিব ভাই বলেছে উইকেট ড্রাই হবে, তোরা তোদের প্রসেসে থাকিস। প্রসেসটা মেইনটেইন করার চেষ্টা করেছি।’
‘উনি (সাকিব) বলছেন, আরো কমে অলআউট করতে ওদেরকে। আমরা চেষ্টা করেছি, হয়তো ১০-২০ রান বেশি হয়ে গেছে। আলহামদুলিল্লাহ যা হয়েছে ভালো হয়েছে।’