

লম্বা সময় পর সহ-অধিনায়ক নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড)। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে না হলেও আপাতত টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ডেপুটি হিসেবে পাচ্ছেন লিটন দাসকে। ব্যাট হাতে সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মের তুঙ্গে থাকার পুরষ্কারই পেলেন লিটন। বাংলাদেশের সংস্কৃতির কারণেই সাকিব নিশ্চিত নন ভবিষ্যতে এই উইকেট রক্ষকই যে অধিনায়ক হবেন।
যদিও ব্যক্তিগতভাবে অধিনায়ক হিসেবে লিটনের উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখেন সাকিব। তার মতে একজন অধিনায়কের যেসব গুণাবলী থাকা দরকার সবকিছুই আছে লিটনের মাঝে। সহ-অধিনায়ক হিসেবে তাকে সাহায্য করার মাধ্যমে নিজের অধিনায়কত্বের দক্ষতাও বাড়াতে পারবেন লিটন এমনটাই মনে করেন সাকিব।
মুমিনুল হক অধিনায়কত্ব ছাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়েই তৃতীয় দফা টেস্ট কাপ্তান হলেন সাকিব। এই সিরিজ দিয়েই ডেপুটি হিসেবে যাত্রা শুরু লিটনের। গতকাল (১৬ জুন) শুরু হওয়া অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিন মাঠে কিছু সময়ের জন্য অধিনায়কত্বও করতে হয় তাকে।
এমনিতে কিছুটা অন্তর্মূখী স্বভাবের বলে এই উইকেট রক্ষক ব্যাটারকে অধিনায়ক উপকরণ মনে করেন না অনেকেই। কিছু দিন আগে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও এমনটাই জানান। তবে মাঠে লিটনকে কাছ থেকে দেখা সাকিব শোনাচ্ছেন আশার বাণী।
অ্যান্টিগা টেস্ট শুরুর আগেরদিন লিটনকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কে কখন অধিনায়ক হয় বলাটা মুশকিল। আমরা একজনকে প্রস্তুত করি কিন্তু পরে আরেকজন হয়ে যেতে পারে। এগুলো আসলে সময়ই সবকিছু বলে দিবে। কাউকে প্রস্তুত করার খুব বেশি দরকার আছে বলে মনে হয় না। লিটনের কথা যদি আমি বলি নির্দিষ্ট করে যেটা হচ্ছে ওর ভেতরে খুব ভালো অধিনায়কত্বের গুণাবলী আছে। আমার ধারণা ও যখন অধিনায়ক হবে তখন অধিনায়ক হিসেবে ভালো করতে পারবে।’
‘ও আমাকে মাঠে সাহায্য করবে যা একই সাথে ও যখন অধিনায়ক হবে তখন নতুন করে কিছু করতে হবে না। বেশ কিছুদিন ধরেই সে আসলে লিডারশিপ গ্রুপে আছে। আর বেশ কিছু ম্যাচ খেলে ফেলছে, ৭-৮ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। সে যথেষ্টই জানে। আর আমি যেটা বললাম ও অনেক দিক থেকে সামর্থ্যবান। অনেকগুলো গুণ আছে অধিনায়কত্বের। ও যখনই আসবে আমি মনে করি ও অনেক ভালো করবে।’