

অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিন শেষে ভালো অবস্থানে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে দারুণভাবে। তবে এখান থেকেও দুইটি সুযোগ দেখেন এই টেস্ট দিয়ে তৃতীয় দফা অধিনায়কত্ব পাওয়া সাকিব আল হাসান।
টস হেরে আগে ব্যাট করে মাত্র ১০৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। সাকিবের ৫২ রানের ইনিংসের সাথে ওপেনার তামিম ইকবালের ২৯ রানে মান বেঁচেছে কিছুটা। পরে বল হাতে স্বাগতিকদের ভালোই চাপে রাখে টাইগার বোলাররা।
২ উইকেটে ৯৫ রান তোলে ক্যারিবিয়ানরা। এখনো পিছিয়ে আছে ৮ রানে। গতকাল ৪৮ ওভার ব্যাট করে ওভারপ্রতি ২ রান করেও নিতে না পারার কৃতিত্ব দিতে হবে বাংলাদেশ বোলারদেরই। শুরু থেকেই চেপে ধরে মুস্তাফিজুর রহমান, খালেদ আহমেদরা।
ব্যাটিং ব্যর্থতায় পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের জন্য কি ধরণের সুযোগ আছে তা জানাতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন,
‘দেখুন এখানে, দলের দুটি সুযোগ থাকে। একটা হচ্ছে ছেড়ে দিয়ে ওদের যত ইচ্ছা রান করতে দেওয়া। তারপর আমরা সেকেন্ড ইনিংসে ব্যাট করে খেলা শেষ হয়ে গেল। আরেকটা হচ্ছে আমরা চেষ্টা করলাম। যদি ওদের এক শ, দেড় শ, দুই শ’র ভেতরে অলআউট করতে পারি, ইভেন আড়াই শর ভেতরে অলআউট করতে পারি – তখন আমরা যদি সেকেন্ড ইনিংসে ভালো ব্যাটিং করি, লাস্ট ইনিংসে এখানে কি হবে, আমরা তো জানি না।’
‘প্রতিদিনই নতুন একটা দিন। সেই সুযোগটা আমাদের ছিল। আমি খুবই খুশি যে পুরো দল সেটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। চেষ্টা করেছে যদি আমরা এমন কোনো বোলিং পারফরম্যান্স দিতে পারি যেন আমরা ব্যাটসম্যানদের করতে পারব, যেটা আমরা ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে পাইনি।’
ব্যাটাররা যেমন তেমন পেসাররা ছিলেন দুর্দান্ত। বিশেষ করে ১৬ মাস পর টেস্ট খেলতে নেমেও স্পষ্ট ছাপ রেখেছেন মুস্তাফিজ। নতুন বলে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন খালেদ আহমেদ। পরে দুজনের সাথে যোগ দিয়ে ক্যারিবিয়ানদের নিয়ন্ত্রণে রাখেন এবাদত হোসেনও। উইকেট দুইটি ভাগাভাগি করেন মুস্তাফিজ ও এবাদত।
View this post on Instagram
তবে ক্যাচ মিস না হলে কিংবা হাফ চান্সগুলো লুফে নিতে পারলে মুস্তাফিজের নামের পাশে থাকতো আরও বেশি উইকেট। নিজের প্রথম ৫ ওভারে ৪ মেডেনসহ মাত্র ১ রান খরচ করেন এই বাঁহাতি। ক্রিজে টিকে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে (১৪৯ বলে ৪২*) ফেরাতে পারতেন শূন্য রানেই।
মুস্তাফিজের বলে লেগ স্লিপে সহজ ক্যাচ ছাড়েন মুমিনুল হক। একই পজিশনে হাফ চান্স মিস করেন লিটন দাস, দ্বিতীয় স্লিপেও মিস হয় একটি হাফ চান্স। দিন শেষে তার বোলিং ফিগার ১২-৬-১০-১। সমান ওভার করে এবাদত খরচ করেন মাত্র ১৮ রান। ৯ ওভারে খালেদ দেন ১৫ রান।
পেসারদের প্রশংসায় ভাসিয়ে সাকিব বলেন,
‘আজকের দিনে আমি খুবই খুশি। কিছু হাফ চান্স ছিল। সেগুলো নিতে পারলে পেসারদের জন্য পারফেক্ট একটা দিন হতো। যেটা আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই পাইনি। আমার মনে হয় পেস বিভাগ খুবই ভালো বল করেছে। জুটিতে ভালো বল করেছে। মোস্তাফিজ দারুণ ছিল। খালেদও অনেক ভালো বল করেছে নতুন বলে। ইবাদত সবসময় ভালো বল করছে।’
‘তিনজনই ভালো করেছে। ওরা একটু আনলাকি। আরও দুটি উইকেট পেলে হয়তো আমরা আরও ভালো অবস্থানে থাকতাম। যদি ১০০ রানে ৪ উইকেট থাকত, তাহলে কাল আরও ১০০ রানের মধ্যে ওদের অলআউট করলে আমরা ম্যাচে থাকতাম। এখনো হবে না তা বলছি না।’